ব্যুরো নিউজ, ১৩ জানুয়ারি: তল্লাশিতে রেয়াত নয়, বুঝিয়ে দিলো বাহিনী
ন্যাজাট সন্দেশখালি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে গিয়ে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের দলবলের হাতে মার খেয়ে রক্তাক্ত হয়েছিলো ইডি। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে শুক্রবার তৃণমূলের ৩ নেতার বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে ঘিরে ফেলেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর তখনই বুঝিয়ে দিয়েছিলো এবার আর আশপাশের জনগণকে ওই তল্লাশির এলাকায় ঢুকতেই দেবেন না তাঁরা। শুক্রবার রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রী ভুমির ২ টি বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায়। একইসঙ্গে সকালে কলকাতার বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রীটে বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চলে।
‘অটল সেতু’ ফিরিয়ে দিলো হারানো স্ত্রীকে
একইসঙ্গে জেরা ও তল্লাশি হয় উঃ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে। সুবোধ বাবুর বাড়িতে ১১ ঘণ্টা, তাপস রায়ের বাড়িতে প্রায় ১০ ঘণ্টা, ও সুজিত বসুর বাড়িতে ১২ ঘণ্টারও বেশি জেরা ও তল্লাশি চলে। ওই তল্লাশির সময় দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনির নিরাপত্তা বেষ্টনী। সুজিতের বাড়িতে ইডি অফিসারেরা যান নিরাপত্তা বেষ্টনী সহ। বাড়ির মধ্যে ঢুকে যাওয়ার পর বাড়ির চারপাশ ঘিরে রাখে নিরাপত্তা বাহিনী। বাড়ির তিরসিমানায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি আশেপাশের লোকজনকে। বাকি ২ টি তল্লাশিতেও ছিল একই ছবি। অটোমেটিক রাইফেলের সঙ্গে বাহিনীর হাতে ছিল পর্যাপ্ত লাঠি ও ঢাল। সন্দেশখালির ঘটনার পর ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন বৈঠক করেন কলকাতায় বি এস এফ, সি আর পি এফ, ও সি আই এস এফ-এর কর্তাদের সাথে। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় তল্লাশির সময় ইতি কর্তব্য।
তাঁরা যে আর কোনরকম অভব্য আচরণের রেয়াদ করবে না তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ওই ৩ বাহিনীর কর্তাদের বলে দেওয়া হয় একদিকে যেমন রেইডের সময় নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে তেমনি লাঠি ও ঢাল হাতে প্রস্তুতি রাখতে হবে ঘটনাস্থলেরও। সেই সঙ্গে রাখতে হবে কাদানে গ্যাস। সেই মর্মেই শুক্রবার প্রস্তুত ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রীতিমতো তল্লাশি ও জেরায় হাঁসফাঁস সুজিত রাত ৯ টা নাগাদ ছাড় পেয়ে চলে যান স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিতে। তারপর মালা দেন স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি ১ টাকা নিয়েছি প্রমান করতে পারলে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেবো। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য অভিযোগ করেছেন দঃ দমদম পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজিত যুক্ত। বিধায়ক তাপস রায় জানিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে থাকার কোন সুযোগ তাঁর ছিল না। কনদিন কোন দুর্নীতিতে তিনি যুক্ত নন। তাঁর সম্বন্ধে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধির রঞ্জন চৌধুরী ও বিজেপির শমিক ভট্টাচার্য। ইভিএম নিউজ