ব্যুরো নিউজ, ৩১ অক্টোবর: জ্যোতিপ্রিয়র কঠোর শাস্তি চায় বঙ্গবাসী

এখন খবরের শিরোনামে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রেশন দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয়। তবে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তার ১০ দিনের ইডি হেফাজতের খবর শোনামাত্র আদালতেই সংজ্ঞা হারান।

তারপর থেকে হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি।  তবে গতকাল অর্থাৎ ৩০ শে অক্টোবর হাসপাতাল থেকে ছুটি পান। এরপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া মাত্র তাঁর গন্তব্য হয় সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতর। গাড়ি থেকে নেমে ভালো মানুষের মতো গটগট করে হেঁটে সিজিও কমপ্লেক্সের ভেতর ঢুকেযান তিনি।

ED তল্লাশি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য 

সাংবাদিকরা তাকে ছেঁকে ধরলেও কোন প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি। অথচ ইডি গ্রেফতারের প্রথম দিন সমস্ত দোষ শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে শোনা গেছে। তিনি বলেন সবটাই ষড়যন্ত্র।

এরপর থেকে ইডির হাতে আসতে থাকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের একের পর এক সম্পত্তির হদিশ। যা দেখে রীতিমতো চক্ষু ছানা বড়া!

এক একটি প্রাসাদ প্রমাণ বাড়ি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। স্ত্রী ও মেয়ের নামেও কোটি কোটি টাকা। বিনা পরিশ্রমে এত টাকা জমিয়ে ফেলা যে সম্ভব তা বোধ হয় এই নেতা-মন্ত্রীদের না দেখলে বোঝা যেত না।

তবে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে এখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সুস্থ বোধ করলেও, খানিকটা মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন তিনি।

জানা যায়,  কাল রাতভর ভালো করে ঘুম হয়নি তার। পায়চারি করেছিলেন সেলের মধ্যেই। সকালবেলায় ডিম পাউরুটি চা খেয়ে ব্রেকফাস্ট সাড়েন জ্যোতিপ্রিয়।

বিচারপতির নির্দেশ মতো আজ থেকে ১০ দিনের ইডি হেফাজতে থাকবেন জ্যোতিপ্রিয়। এরপর জিজ্ঞাসা করা হবে বিভিন্ন প্রশ্ন। প্রশ্ন করবেন তাঁবড় তাবর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসা করা হবে যে তিনি বাকিবুর রহমানকে চেনেন কিনা।

এছাড়া তার এত সম্পত্তির উৎস কি? কোটি কোটি টাকা তার স্ত্রী ও মেয়ের একাউন্টে আসলো কি করে? শুধুই কি মন্ত্রীত্ব থেকে পাওয়া বেতন থেকে নাকি অন্য কিছু কারবার করতেন জ্যোতিপ্রিয়?

অবশ্য ইডির কাছে আছে সমস্ত প্রমাণ। জ্যোতিপ্রিয় যদি চালাকি করে সব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তবে তাকে দেখানো হবে সেই সব তথ্য প্রমাণ। এভাবেই চলবে প্রশ্ন উত্তর পর্ব। যেমনটা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের ক্ষেত্রে।

এর আগে গ্রেফতার হওয়া সমস্ত তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা এখনো পর্যন্ত জেল হেফাজতে রয়েছে। জামিন পাওয়া দুর অস্ত। শুধুমাত্র মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও অনুব্রত মণ্ডলের একাউন্টেন্ট ভাগ্যক্রমে জামিন পেয়েছেন।

অবশ্য এই জামিন পাওয়ার পেছনে তাদেরকে সমস্ত গোপন তথ্য জানাতে হয়েছে। এবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পালা। সকলেই দেখতে পাচ্ছি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাকিবুল রহমান থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে-বেনামে, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি।

ইতিমধ্যেই বাকিবুর রহমানের ১৬০০ কাঠা জমির সন্ধান পাওয়া গেছে। গতকাল শুভেন্দু অধিকারী দিঘায় তিনটি পাঁচতারা হোটেলের সন্ধান দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা কিনা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নিজের হোটেল।

এছাড়াও আছে শান্তিনিকেতনে এলাহি বাংলো। যার বাজারদর ৬ কোটি টাকার বেশি ছাড়া কম নয়! রেশন দুর্নীতি প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক একজন ব্যক্তিকে ১৮০০ রেশন দোকানের মালিক বলে সম্বোধন করছেন। তিনি যে তাকে বড়লোক বানিয়েছেন তাও তিনি নিজে মুখে স্বীকার করছেন। ভিডিও তে তিনি বলছেন আরও ৩০০ রেশন দোকানের মালিক কে তিনি নিজে হাতে বড়লোক তৈরি করবেন। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ইভিএম নিউজ

এরপর বনদফতরেরও কিছু কেলেঙ্কারির কথা সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে পশু, খাদ্য নিয়েও তিনি নয় ছয় করেছেন। এবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সমস্ত অভিযোগ যদি সত্য প্রমান হয় তবে তার কঠোর শাস্তি চায় বঙ্গবাসী। তিনি সাধারণ খেঁটে খাওয়া মানুষকে তাঁদের হকের অন্ন থেকে বঞ্চিত করেছেন। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর