ব্যুরো নিউজ: জঙ্গলমহলে স্বশাসনের দাবি। স্বশাসিত প্রশাসনের দাবি উঠল জঙ্গলমহলে। এই দাবি তুললেন খোদ কুড়মি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।
তবে জঙ্গলমহলের হাসি কি অতীত? স্বশাসনের দাবি কুড়মি-আদিবাসীদের। দীর্ঘদিনের বঞ্চনার ফলেই এই দাবি। ‘জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চা’ নামে একটি সংগঠনের মাধ্যমে আগামী ২৮ শে আগস্ট থেকে তাঁরা আন্দোলন সংঘটিত করবে এমনটাই জানিয়েছেন মঞ্চের নেতারা। আন্দোলন চলবে ২৫শে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
মোর্চার কেন্দ্রীয় সভাপতি অশোক মাহাতো, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল মুদি, অর্জুন খিলাড়িদের দাবি, ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে যে সমস্ত আদিবাসী সম্প্রদায়ের জনজাতি স্বীকৃতি ছিল, যা স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে গিয়েছে, সেই স্বীকৃতি পুনরায় তাঁদেরকে ফিরিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি কুড়মালি, মুন্ডারি ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি। পাশাপাশি আদিবাসীদের সারনা ধর্মের কোড চালু করা সহ নানান বিষয়ে সংগঠিত হতে চলেছে এই আন্দোলন।
মোর্চা নেতাদের মতে, মুন্ডা, লোধা-শবর, বৈগা, কোড়া ও ভূমিজদের মতো আদিবাসী জনগোষ্ঠীরাও দীর্ঘদিন বঞ্চনার শিকার হয়েছে। ২০০০ সালের ১৫ ই নভেম্বর বিহার ভেঙে ঝাড়খন্ড রাজ্য তৈরি হলেও মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার প্রস্তাবিত এলাকাগুলি সেই রাজ্যের অন্তর্ভুক্তি হয়নি। ফলে এই জেলাগুলির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আর এই কারণেই কুড়মি ও আদিবাসী সম্প্রদায় জঙ্গলমহলের এই অনুন্নত জায়গাগুলিতে স্বশাসনের দাবি ‘জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চা’-র নেতাদের। ইভিএম নিউজ