ব্যুরো নিউজ, ২২ নভেম্বর: ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে বাঁধা। ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন বাবার
রবিবার ছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল। গুজরাতের আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ নিয়ে গোটা দেশের উন্মাদনা তখন ছিল তুঙ্গে। এই বিশ্বকাপ দেখা নিয়ে কম উন্মাদনা ছিল না কানপুরের বাসিন্দা বাবা গনেশ ও ছেলে দীপক প্রসাদের মধ্যে। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু এই উন্মাদনার মাঝে যে একজনের হাতে আর একজনকে খুন হয়ে যেতে হবে সেটা কেউই কল্পনা করতে পারেনি।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ছেলে দীপক, তার বাবাকে খাবার বানাতে বলে। কিন্তু তার বাবা বলে যে, সে এখন খাবার বানাতে পারবে না। কারণ সে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ দেখছে। কয়েকবার বলার পরেও যখন গণেশ খেলা দেখায় মত্ত ছিল তখন দীপক রাগ করে টিভির সুইচ বন্ধ করে দেয়। এতেই বেঁধে যায় বচসা। শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। তারপরে একসময় হাতাহাতি থেকে সেটি অন্যদিকে মোর নেয়। আচমকা গণেশ তার ছেলের গলায় একটি তার দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে ও শ্বাসরোধ করে তাকে মেরে ফেলে।
আত্মঘাতী বিএড পড়ুয়া। চিরকুটে লেখা, ‘আমি হতাশ’
ছেলেকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার পরে গণেশ সেখান থেকে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা কিছুক্ষণ পর দীপককে ওইভাবে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাদের সন্দেহের বশে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দীপককে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। গোটা ঘটনা তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই দীপকের বাবা গণেশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইভিএম নিউজ