ভারতীয়

ব্যুরো নিউজ, ২৫ ডিসেম্বর: কী বলা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায়?

রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নামক ঐতিহাসিক আইন। ভারতীয় ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া নতুন পদ্ধতিগত ভাবে পথ চলা শুরু করবে। আজকের প্রতিবেদনে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করছি।

রাজ্য সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারা IPC, CRPC, Evidence Act সবকটা আইন মিলিয়ে এক বিশাল বিরাট “ভারতীয় ন্যায় সংহিতা” নামক এক ঐতিহাসিক আইন পাশ হল।

পাকিস্তানে ‘জিহাদি গুরু’ আবদুল্লাহ শাহীনের রহস্যজনক মৃত্যু

এরপর থেকে যে কোনও ক্রিমিনাল মামলায় আর “তারিখ পে তারিখ” চলবে না। Police, Lawyer, Court সবার দায়িত্ব স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হল। প্রত্যেকের দায়িত্বের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল এই আইনে।

● 3 দিনের মধ্যে FIR সম্পন্ন করতে হবে।

● 90 দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দিতে হবে।

● 180 দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

● 3 বছরের মধ্যে লোয়ার কোর্ট থেকে সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ শেষ করে অন্তিম রায় দান করতে হবে।

● সর্বোচ্চ 7 দিনের জন্য বিচারপতি নিজের রায়দান স্থগিত বা রিজার্ভ রাখতে পারবে।

● চূড়ান্ত রায় দেবার পর 3 দিনের মধ্যে অপরাধীর সাজা শুরু করতে হবে।

● সুপ্রীম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের ফাঁসি বা যাবজ্জীবন সাজা থাকলে 3 দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা যেতে পারে। কিন্ত তা অপরাধীকে নিজেকেই করতে হবে। সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর হয়ে কোনও NGO বা কোনও সংগঠন ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদন করতে পারবে না।

● কোন অপরাধী যদি অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে ও দেশের খবরের কাগজে একবারের জন্য নোটিশ দিয়ে 45 দিনের জন্য অপেক্ষা করে পলাতক অভিযুক্ত বা পলাতক অপরাধীর অনুপস্থিতিতেই ট্রায়াল চালু করতে হবে।

● পলাতক অভিযুক্ত বা অপরাধী যদি নিজের পক্ষ কোর্টের কাছে রাখতে চায় তবে তাকে আত্মসমর্পণ করে সশরীরে দেশের কোর্টে উপস্থিত হবে হবে। সেক্ষেত্রে কোনও প্রতিনিধিত্বমূলক উপস্থিতি গ্রাহ্য হবে না।

● আর্থিক কেলেঙ্কারি করে বিদেশে পালিয়ে থাকা পলাতক অভিযুক্ত বা অপরাধীর সমস্ত সম্পত্তি 6 মাসের মধ্যেই ক্রোক করতে হবে।

● এছাড়াও TERRORISM তথা আতঙ্কবাদের সংঙ্গা ও বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট করা হল।

● শাসক ও সরকারের বিরোধীতা এরপর থেকে আর কখনোই রাজদ্রোহ নয়। এমন কি স্বাধীন ভারতেও ব্রিটেনের রাজা রাণীর বিরোধীতা, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিরোধীতা, কিছু ব্রিটিশ আইনের বিরোধীতাও রাজদ্রোহ আইনের পর্যায়ে পড়ত তা একেবারে খতম করা হল।

● শাসক ও সরকারের বিরোধীতা করা গণতান্ত্রিক নিয়মের মধ্যেই পড়ে। কিন্ত দেশের বিরুদ্ধে, “ভারতের” নাম উল্লেখ করে ভারতের বিরুদ্ধে কিছু অবমাননাকর কিছু বললে বা অপমানজনক কিছু কাজ করলে তা কঠোর দেশদ্রোহীতা বলেই গণ্য হবে। আর তার জন্য কঠোরতম সাজা এমনকি দশ বছরের জেল বা মৃত্য দন্ড পর্যন্ত হতে পারে। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর