সুবিধা

ব্যুরো নিউজ, ১৫ নভেম্বর: কী কী সুবিধা পান জেলবন্দিরা? কাদের জন্য বিশেষ সুবিধা? 

সম্প্রতি জেল হেফাজতে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেল হেফাজতে থেকেই নানান আবদার জ্যোতিপ্রিয়র। জেল কর্তৃপক্ষের কাছেই একেক বার একেক রকম বায়না! কখনও চাইছেন বালিশ, কখনও চাদর, আবার কখনও আবার মোবাইল। তবে মন্ত্রী হলেও, জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে এসব সুবিধা দিতে নারাজ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের বড় সফলতা! 
জেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, একজন বন্দিকে জেলে রাখার সময় তাঁকে দেওয়া হয় ৩ থেকে ৪টি কম্বল। থাকে না বালিশ, চাদর। সাধারণ বন্দিরা একটি কম্বল মেঝেতে পেতে শোন।

এছাড়া স্নান করার জন্য দেওয়া হয় একটি মগ ও গামছা। তবে গামছায় বিপদ আছে। গামছা ব্যবহার করে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু তাই বলে গামছা না দিলে জেল বন্দিরা  স্নান করবেন কীভাবে? তাই গামছা দেওয়া হয়। আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা গেলে সেটি নিয়ে নেয় জেল কর্তৃপক্ষ। তবে আদালতের নির্দেশ পেলে খাটও মিলতে পারে বন্দিদের। ঠিক যেমন আদালতের নির্দেশে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শোয়ার জন্য একটি খাট পেয়েছেন। আরও জানা যায়, শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হলে কমোডের বন্দোবস্তও করে দেওয়া হয়।

কিছুদিন আগেই অভিযোগ উঠেছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় আংটি পরে থাকছেন জেলে, যা জেলের নিয়মের বিরোধী। বিষয়টি আদালতের নজরে আসার পর খুলে ফেলতে হয় সেই আংটি। এই আংটির মতোই ঘড়ি, মোবাইল, টাকা- এ সবই মূল্যবান সম্পত্তি হিসেবে দেখা হয়। যদি কোনও বন্দি এগুলো নিয়ে চলেও আসেন, তাহলে তা জেলারের লকারে রেখে দেওয়া হয়। পরে বন্দি মুক্ত হওয়ার সময় সেসব ফেরৎ পান অথবা তাঁর পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

যাঁদের রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তাঁরা সাধারণ বিশেষ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন। যেমন, শোয়ার জন্য খাট, বই পড়ার জন্য টেবিলও দেওয়া হয় তাঁদের। তবে বালু মল্লিক, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মানিক ভট্টাচার্যদের সেই সুবিধা পাননি। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর