ব্যুরো নিউজ,২৪মার্চ: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আবারও অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হলো ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের। আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত এই জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তার শারীরিক অসুস্থতা ও চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করেই আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে শর্ত অনুযায়ী, তিনি চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো কারণে বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না।এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ও তার স্বাস্থ্যের অবনতির কথা উল্লেখ করে আদালত তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এবার সেই জামিনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হলো।
এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই নিশানা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের!
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে অসন্তুষ্ট ‘কালীঘাটের কাকু’
উচ্চ আদালতের নির্দেশে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ওপর কড়া নজরদারি রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু এই কঠোর নজরদারি নিয়ে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।তিনি অভিযোগ করেছেন যে, জওয়ানরা তাঁর নড়াচড়ার ওপর এতটাই কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন যে এমনকি শৌচালয়েও তাঁকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ধরনের নজরদারি তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করছে বলে তিনি আদালতে জানিয়েছেন। যদিও হাইকোর্ট এ বিষয়ে কোনো নতুন নির্দেশ দেয়নি, তবে নজরদারির পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কালীঘাটের কাকুর স্বাস্থ্যপরীক্ষাঃ প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে জোকা হাসপাতালে স্থানান্তর
আগে কী হয়েছিল?২০২৩ সালে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তদন্ত শুরু করে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ফেব্রুয়ারিতে আদালত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছিল। এবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জামিনের মেয়াদ আরও এক মাসের জন্য বাড়ানো হলো।তবে, আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে যে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো কারণে বাড়ি ছেড়ে বের হতে পারবেন না। যদি তিনি শর্ত লঙ্ঘন করেন, তাহলে তার জামিন বাতিল হতে পারে।
এরপর কী হবে?আগামী ২২ এপ্রিল জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আদালত নতুন করে তার শারীরিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। যদি তখনও তিনি অসুস্থ থাকেন, তবে আবারও জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হতে পারে।এই মামলাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। আদালতের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকেই নজর থাকবে সবার।
