ব্যুরো নিউজ ২৪ জুন: বাঙালির ভোজনরসিকতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে মাছের ডিমের করলা ভাজি। করলার তেতো স্বাদকে ছাপিয়ে মাছের ডিমের সঠিক মিশ্রণে এই পদ এখন অমৃতের সমান। স্বাস্থ্যসচেতন বাঙালি এখন কম তেল ও পুষ্টিকর খাবারের দিকে ঝুঁকছেন, আর এই পদ সেই চাহিদা পূরণ করছে। করলা যেমন রক্তচাপ ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, তেমনি মাছের ডিম প্রোটিন ও ভিটামিন-ডি এর চমৎকার উৎস।
শহরের রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে অনলাইন ফুড প্ল্যাটফর্মগুলোতেও এর চাহিদা বাড়ছে। গৃহিণীরাও পরিবারের জন্য এই ঐতিহ্যবাহী পদ তৈরি করছেন। জনপ্রিয় শেফ অরুন্ধতী সেনগুপ্তের মতে, এটি বাঙালির ভোজন সংস্কৃতির এক সার্থক প্রতিচ্ছবি। মাছের ডিমের দাম কিছুটা বেশি হলেও, নস্টালজিয়া এবং স্বাদের কারণে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। যাদের করলার তেতো ভালো লাগতো না, তারাও এখন এই পদের গুণমুগ্ধ ভক্ত।
মটন ভিন্দালু রেসিপি: স্বাদের রাজা, সোজা আপনার রান্নাঘরে
মাছের ডিমের করলা ভাজি উপকরণ:
- মাছের ডিম: ২৫০ গ্রাম
- করলা: ২৫০-৩০০ গ্রাম (পাতলা কুচি)
- পেঁয়াজ: ১টি (কুচি)
- কাঁচা লঙ্কা: ২-৩টি (চেরা/কুচি)
- আদা-রসুন বাটা: ১ চামচ (ঐচ্ছিক)
- গুঁড়ো মশলা: হলুদ, লঙ্কা, জিরে, ধনে (প্রত্যেকটি ১/২ চা চামচ)
- বেসন: ১-২ চামচ
- সর্ষের তেল: পরিমাণমতো
- নুন: স্বাদমতো
- ধনে পাতা কুচি: ১ চামচ (ঐচ্ছিক)
- বাড়ির ফ্রিজে পড়ে থাকা খাবারে ভাইজানের ম্যাজিক, নাম দিয়েছেন ‘মিকচার’
- প্রস্তুত প্রণালী:
১. ডিম প্রস্তুত ও ভাজি: মাছের ডিম ধুয়ে নুন, হলুদ, লঙ্কা, জিরে, ধনে, সামান্য পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা ও বেসন দিয়ে মেখে নিন। তেল গরম করে এই মিশ্রণ থেকে ছোট বড়া বা ঝুরি করে সোনালী করে ভেজে তুলে নিন।
২. করলা ভাজি: একই তেলে করলা কুচি নুন ও হলুদ দিয়ে সোনালী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। (তেতো কমাতে চাইলে আগে নুন মেখে জল নিংড়ে নিতে পারেন)।
৩. মিশিয়ে পরিবেশন: ভাজা করলার সাথে ভাজা ডিমের বড়া বা ঝুরি মিশিয়ে ২-৩ মিনিট ভেজে নিন। ধনে পাতা কুচি দিয়ে সাজিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।