ব্যুরো নিউজ, ৩ অক্টোবর: কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন নদীবাঁধে ভাঙ্গন 

নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুরে দুর্যোগ অব্যাহত। রাতভর এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েছে সমগ্র জেলাজুরে। এর মধ্যে সুন্দরবন উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশী। মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তাল সাগর থেকে সমুদ্র। আকাশে দুর্যোগের মেঘ। প্রচন্ড বৃষ্টি যেন যাই যাই করে আর যাচ্ছে না, ঘুরে ফিরে আবার আসছে। আজ সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমান খানিকটা কম থাকলেও নদী ও সমুদ্র উপকূলে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। মেঘাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে আকাশ। আজও সমুদ্র উত্তাল থাকায় নদী ও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। দুর্যোগের কারনে আতঙ্কে রয়েছে সুন্দরবন উপকূলীয় তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। আবারও কি সুন্দরবন এলাকা প্লাবিত হতে চলেছে? ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে চলেছে এলাকার মানুষ? প্রশ্ন

 

https://youtu.be/FLUJYRcYXig

অন্যদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় নবান্ন থেকে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মহকুমা শাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। তাতে নির্দেশ দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরী থাকতে। জেলার প্রতিটি ব্লক অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে আগামী কয়েকদিনের জন্য। সুন্দরবন উপকূলের কাঁচাবাড়ির বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচার চালান হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন তীরবর্তী এলাকাগুলিতে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন ৫০০ মিটারের নদীবাঁধে ভাঙ্গন ধরেছে। সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে পর্যটকদের সমুদ্রে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্লক প্রশাসন। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং এর মাধ্যমে পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের সতর্ক করা হচ্ছে। রাতে আরো জল বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রাণও মজুত রাখা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সুন্দরবনের দুর্বল নদীবাঁধগুলির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে সেচ দফতর। বড় কোন বিপর্যয় হলে দ্রুত জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে জেলার সৈকত পর্যটনকেন্দ্র গুলিতে আসা পর্যটকদের সমুদ্র ও নদীতে নামার ওপরেও মহকুমা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।

 

এ বিষয়ে  স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন কুমার দাস বলেন, “কোটাল ও সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে গঙ্গাসাগরের কপিল মুনি মন্দির সংলগ্ন  সমুদ্র সৈকতের দু’নম্বর রাস্তা থেকে পাঁচ’নম্বর রাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটারের মাটির নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে। ওই ফাটল থেকে সমুদ্রের জল এলাকায় প্রবেশ করছে। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে আগামী দিনে হয়তো কপিলমুনি মন্দির নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।”

নিম্নচাপের জেরে কলকাতায় বৃষ্টির দাপট অব্যাহত

নদী বাঁধ ভাঙ্গনের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সুমতিনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিপিন পড়ুয়া। তিনি এসে উপকূল তীরবর্তী এলাকায় যে সকল স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রয়েছে সে সকল ব্যবসায়ীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, গোটা বিষয় সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ইতিমধ্যেই রাজ্যের সেচ দপ্তরকে জানিয়েছেন।  দ্রুততার সাথে ওই নদী বাঁধের কাজ শুরু করবে সেচ দপ্তর। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর