ব্যুরো নিউজ, ১৩ জানুয়ারি: এবার বাংলায় আক্রান্ত সাধুরা
বাংলায় আক্রান্ত এবার সাধুরা। দুষ্কৃতিদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা সাধুরা। পুরুলিয়ার কাশিপুর এলাকায় সাধুদের ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগরে এসে ভিড় জমান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধু সন্তরা। পৌষ মাস পড়ার সঙ্গে সঙ্গে একে একে তাঁরা আসতে থাকেন। ১৫ ই জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি। পূর্ণ স্নানের জন্য এই সাধুরা এসে থাকেন। উত্তর প্রদেশ থেকে গাড়ি করে পুরুলিয়ার ওপর দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনজন সাধু সহ অন্যান্য যাত্রীরা। সেই সময় তাদের বেধড়ক মারধর করে কাশিপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা। কি কারনে ঘটনাটি ঘটলো তা বিস্তারিত জানান কাশীপুরের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাঝ গঙ্গায় ৫ ঘণ্টা পলিতে আটকে যাত্রীসহ লঞ্চ
তিনি বলেন উত্তরপ্রদেশ থেকে আসছিলেন বেশ কিছু সাধু-সন্ত গঙ্গাসাগর মেলার উদ্দেশ্যে। পুরুলিয়ার কাশীপুরের উপর দিয়ে যাবার সময় এই সাধুরা গাড়ি থামিয়ে পথ চলতি তিন মহিলাকে কিছু জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করেন। সম্ভবত কিছু জানার জন্যই তাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় কিছু ভুল বোঝাবুঝি হলে মহিলারা চিৎকার করতে শুরু করেন। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে আসে ও সাধুদের ঘিরে মারধর শুরু করে। তাদের গাড়িও ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গেই তারা ঘটনাস্থলে চলে আসেন ও সাধুদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সহ আরো অন্যান্যরা। ইতিমধ্যেই তিনি অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবাংলায় আইন শৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী কোন কিছুতেই তার দায়িত্ব পালন করছেন না। কলকাতা বিমানবন্দরে এদিন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন বাংলায় এমন বাতাবরণ কেন তৈরি করা হচ্ছে? শুধুমাত্র তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে বাংলায়। রাম মন্দিরের শিলান্যাসের সময়ও বাংলায় কার্ফিউজারি করার মত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। তিনি আরো বলেন সরকার চুপচাপ বসে দেখা ছাড়া আর কিছুই করছে না। আইন শৃঙ্খলা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। এর আগে সন্দেশখালিতে ইডির ওপর মারাত্মক হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা ।মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় Ed র তিন আধিকারিকের। তাদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সন্দেশখালি থানা কাউকে গ্রেফতার করেনি। এক সপ্তাহ পর চাপে পড়ে মাত্র দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ।
২২ শে জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনকে নিয়ে রাজনৈতিক জোর তরজা চলছে বাংলায়। বাংলার নেতা মন্ত্রীদের মুখে রাম মন্দিরের বিরোধিতা করতে শোনা যাচ্ছে। তার মধ্যেই আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন গতকাল সাংসদ শতাব্দী রায়। রাম মন্দির কে তিনি বিপিএল কার্ডে পাওয়া ঘর বলে উল্লেখ করেন। আর এরই মাঝে সাধুদের উপর এহেন হামলা যেন তারই প্রতিক্রিয়া হিসেবে মনে করছেন অনেকে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের তল্লাশি চলছে। ইভিএম নিউজ