লাবনী চৌধুরী, ৪ ডিসেম্বর: এক ‘স্বপ্ন রাজ্যের’ হদিশ
ডিসেম্বর মানে খাওয়া-দাওয়া, ঘুরতে যাওয়া, পিকনিক, জমাটি আড্ডা। ডিসেম্বর মানেই ছুটির আমেজ। বড় দিনের ছুটি, নতুন বছরের ছুটি, আরও কত কি… তবে এসবের মধ্যেও ভ্রমন পিপাসু মানুষ কিন্তু ব্যাগ গুছিয়ে ঠিক বেড়িয়ে পরেন প্রকৃতির মাঝে জীবনের রসদ খুঁজতে।
মিগজাউম: দক্ষিনে বাতিল বহু ট্রেন
প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে গিয়েও নিজেকে খুঁজে পাওয়া যায়। আজ রইল সে রকমই হারিয়ে যাওয়ার এক অন্য ঠিকানা। এই ঠিকানায় দেখা মিলবে ম্যাগনোলিয়া, অর্কিড, রডোডেনড্রনের। রডোডেনড্রনের রঙ মাখবে আকাশ। চারিদিক যেনও সেজে থাকবে ফুলে ফুলে। আর এই স্বপ্ন রাজ্যের ঠিকানাটি হল রামপুরিয়া।
দার্জিলিং থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার দূরে জঙ্গলের মধ্যে এই গ্রাম। এখানকার বাসিন্দাদের মূল জীবিকা চাষবাস এবং পশুপালন। আগে এই জায়গাটি সম্পর্কে মানুষের পরিচিতি না থাকলেও ধীরে ধীরে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অন্যতম অফবিট জায়গা রামপুরিয়া গ্রাম। শুধু প্রকৃতই নয়, এখানকার সহজ- সরল পাহাড়ি মানুষের আতিথেয়তাও মন কাড়বে আপনার।
সারা বছরে যেকোনো সময় এই পাহাড়ি গ্রামে যাওয়া যায়। তবে অক্টোবর থেকে মে মাস যাওয়ার জন্য সেরা সময়। কারণ এই সময় প্রকৃতির সবুজ রঙে হোলি খেলার সময়। চারিদিকে ঘন সবুজ অরণ্য, দেশের অন্যতম পুরনো অভয়ারণ্য সেঞ্চল এখানেই রয়েছে। এমনকি সবুজে ঘেরা অরণ্যে দেখা মিলতে পারে বার্কিং ডিয়ার, ভাল্লুক -সহ একাধিক বন্যপ্রাণীর।
তবে এটুকুই নয়, পায়ে হেঁটে ঘুরে নিতে পারেন পাহাড়ি গ্রামটি। এমনকি চাইলে গাড়ি বুক করে ঘুরে আসতে পারেন লামাহাট্টা, তিনচুলে, পেশক। শহুরে জীবনকে পেছেনে ফেলে, পাহাড়ি জঙ্গলে ঘেরা গ্রাম্য পরিবেশকে উপভোগ করার জন্য রামপুরিয়া আদর্শ জায়গা।
কিভাবে যাবেন?
ট্রেনে করে প্রথমে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পৌঁছে যান। সেখান থেকে শেয়ার গাড়িতে চলে যান ঘুম। আর সেখান থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার পথ পেরোলেই পৌঁছে যাবেন রামপুরিয়া গ্রামে, এভাবে গেলে আপনার খরচ অনেকটাই কমবে। চাইলে আগে থেকে হোমস্টেতে বলে রাখলে নির্ঝঞ্ঝাটে প্রাইভেট গাড়িতে পৌঁছে যেতে পারেন রামপুরিয়া।
কোথায় থাকবেন?
এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। যেখানে আপনি থাকার পাশাপাশি গরম গরম ঘরোয়া খাবার পেয়ে যাবেন। হোমস্টের বারান্দায় বসে গরম কফিতে চুমুক দিতে দিতেই উপভোগ করতে পারবেন তারায় ভরা রাতের মায়াবি আকাশ। আপনার এই মায়াবি রাতের সাক্ষী থাকবে রামপুরিয়া। ইভিএম নিউজ