ব্যুরো নিউজ, ১৯ ডিসেম্বর: একসঙ্গে ৩৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড
সংসদে নজিরবিহীন ঘটনা! একসঙ্গে ৩৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার।
সংসদে হট্টগোল, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অভিযোগে লোকসভা থেকে এক সঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী- সহ ৩৩ জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করে দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। সংসদের রেকর্ডে এহেন ঘটনা এর আগে ঘটেনি বলে মনে করা যাচ্ছে না। ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড | ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত?
লোকসভায় হানার ঘতনায় উত্তাল হয় সংসদের দুই কক্ষ। লোকসভার ৩৩ জন ছাড়াও রাজ্যসভাতেও ৩৪ জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
স্পিকারের পোডিয়ামে উঠে পড়ার অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে সংসদের স্বাধীকার ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। লোকসভায় অনুপ্রবেশকারীদের হানায় প্রশ্ন উঠেছে সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবি করে লোকসভায় স্লোগান তোলেন তারা। যার নেতৃত্বে ছিলেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদদের মতো স্লোগান তুলেছিলেন তৃণমূল, ডিএমকে সাংসদরাও। এই ঘটনায় স্পিকার ওম বিড়লা অসন্তোষ প্রকাশ করে সাংসদদের সাসপেন্ড করে দেন। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে তৃণমূলের ন’জন সাংসদ রয়েছে।
সাংসদদের সাসপেন্ড করার ঘটনাকে বিরোধীরা তাদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হিসাবেই দেখছেন। এ ব্যাপারে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চ্যানেলে গিয়ে বাইট দিচ্ছেন, অথচ সংসদে এসে কথা বলছেন না। কারণ সংসদে পাল্টা প্রশ্ন ওঠার ভয় পাচ্ছেন। আর সেই কারণে বিরোধীদের এখন কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পদক্ষেপ নির্ণয় করতে এদিন সমস্ত বিরোধী সংসদীয় দলের নেতাদের নিয়ে দিল্লীতে বৈঠকে ইন্ডিয়া জোট।
ইতিমধ্যেই সাংসদদের একাংশ জানিয়েছে, বিরোধী সাংসদরা একজোট হয়ে অধিবেশনের পরবর্তী দিনগুলি অধিবেশন বয়কট করবে। এই বিষয়ে আজ ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠকের পর বিরোধী সংসদীয় দলের নেতা এবং সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা গান্ধী মূর্তিতে যাবেন। এরপর বিজয় চকে সাংবাদিক বৈঠক করবেন বিরোধী সংসদীয় দলের নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার লোকসভায় হানার ঘটনার পর থেকেই সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবি জানিয়ে ওয়েলে নেমে স্লোগান দেন তাঁরা। এই ঘটনায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার অভিযোগে সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। ইভিএম নিউজ