ব্যুরো নিউজ ১৭ই মে : ভারত বিশ্বের বৃহত্তম আম উৎপাদনকারী দেশ, যা বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের প্রায় ৬০ শতাংশ। আর এই ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে, যা দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ অবদান রাখে। এই গুরুত্বপূর্ণ অংশের কারণে, আম রাজ্যের কৃষি অর্থনীতিতে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার আম চাষিদের সহায়তার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে ইসরায়েলের কৃষি বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে সহযোগিতা। এই প্রচেষ্টাগুলি কেবল উৎপাদনই বাড়ায়নি, ফলের গুণমান উন্নত করেছে এবং রপ্তানি বৃদ্ধি করেছে।
রাজ্যের উদ্যানপালন দফতরের কর্মকর্তারা শনিবার দাবি করেছেন যে এ বছর রাজ্যে আমের ফলন ভালো হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ফলের আকার উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো, যা আগের ঘাটতি পূরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রত্যাশিত আকারের ফল ইতিমধ্যেই অর্জিত হয়েছে এবং আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে আম বাজারে আসতে শুরু করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে, বিশেষজ্ঞরা ফসলের গুণমান বজায় রাখতে এবং কৃষকরা বাজারে ভালো দাম পান তা নিশ্চিত করার জন্য সঠিক পরিচর্যার উপর জোর দিয়েছেন।
রাহমানখেদার সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর সাবট্রপিক্যাল হর্টিকালচার (সিআইএসএইচ)-এর বরিষ্ঠ কর্মকর্তা ডঃ এইচ.এস. সিং আম চাষিদের তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে যে কৃষকরা তাদের আম ফলগুলিকে ব্যাগিং করেছেন তারা নিরাপদ, তবে যারা করেননি তারা দুটি প্রধান কীটপতঙ্গের ঝুঁকিতে রয়েছেন: “দুধওয়া” (ফলের ছিদ্রকারী পোকা) এবং “কাটার” পোকা (সেমিলুপার)। আবহাওয়া উষ্ণ হওয়ার সাথে সাথে এই কীটপতঙ্গগুলি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তাপমাত্রা আরও বাড়বে, বিশেষ করে আসন্ন “নৌতাপ” (১৮ মে থেকে শুরু হওয়া ১৫ দিনের চরম তাপপ্রবাহের সময়)। যদি এই কীটপতঙ্গগুলি প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে তাদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা পরে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।