ব্যুরো নিউজ, ৫ ডিসেম্বর: ইন্দিরার প্রিয় আই পি এস : মিজো সিএম?
মিজোরামের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সিছুঙ্গার। আর তাঁর প্রধান সহায়ক ছিলেন লালডুহোমা। সেই সময় তিনি আই পি এস পরীক্ষায় পাশ করেন। এর পরেই তাঁকে নিয়োগ করা হয় গোয়ায়। দায়িত্ব পেয়েই সেখানকার স্মাগলার ও হিপিদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করেন। তাঁর এই সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮২ সালে তাঁকে দিল্লী আনেন। ইন্দিরার নিরাপত্তার দায়িত্ব পড়ে তাঁর কাঁধে। তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ছিল চোখে পরার মতো। ১৯৮৪ সালে লালডুহোমাকে পোস্টিং দেওয়া হয় মিজোরামে। এরপরেই চাকরি ছেড়ে যোগ দেন কংগ্রেসে। সাংসদ পদে নির্বাচিত হন। তাঁকে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতিও করা হয়।
১৯৮৬ সালে রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি লালডেঙ্গা ও মিজোরামের সদ্য পরাস্ত মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার জঙ্গি সংগঠক মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের সাথে মধ্যস্থতা করে শান্তি চুক্তি সাক্ষর করান। এ হেন লালডুহোমা এবারে বসতে চলেছেন মিজোরামের ক্ষমতায়। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাওয়ার ব্যাপারে তাঁর কোন সন্দেহ ছিল না কারন মনিপুরে কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে সংঘর্ষ প্রভাব ফেলেছিল মিজোরামে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা জয়ের আশায় চীন- কুকিদের মিজোরামে ব্যাপক সংখ্যায় আশ্রয় দেন। আর তাতেই বিরক্ত মিজোরামের বাসিন্দারা। ঢেলে ভোট দিয়েছে লালডুহোমার দলকে।
বঙ্গে বিজেপির বিজয় উৎসব শোভাযাত্রা
গোপনে কুকিদের আশ্রয় দিয়ে মিজোরামে কুকি রাজ্য গঠনের ছক কষেছিলেন জোরামথাঙ্গা। কিন্তু শেষমেষ পরাজয়ের মুখ দেখতে তাঁকে। বিজেপি আগেই ধরে নিয়েছিলো ওই রাজ্যে তাঁরা ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। কারন, মনিপুরে কুকি- মেইতেই লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করেছিলো। পরাজয়ের পরেই রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন জোরামথাঙ্গা। লালডুহোমা জানিয়েছেন, মিজোদের জন্য যা করেনি আগের সরকার, এবার তাঁরা সেসব পূরণ করবেন। ইভিএম নিউজ