ব্যুরো নিউজ, ২০ ডিসেম্বর: ইডির ডাক পার্থর ভজাকে
গুঞ্জন ছিল প্রায় বছরখানেক ধরে। তিনি নাকি ডাক পাবেন ইডির দফতরে শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে থাকার কারনে। কিন্তু হতাশ হয়েছিলেন অনেকেই ইডির বিলম্ব দেখে। অবশেষে ইডির নোটিশ পেয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ভজা ওরফে পার্থ সরকার। বেহালা এলাকায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়ক ও মন্ত্রী হওয়ার পরেই ভজা হয়ে যায় তাঁর ছায়াসঙ্গি। আর এর পরেই দ্রুত ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে ভজা। একাধিক বাড়ি, ও গাড়ির মালিক হয়ে ওঠে ভজা। কলকাতা পুরসভার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন ‘কীর্তিমান’ ভজা। বুধবার ২০ ডিসেম্বর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার ‘পত্র’ পেয়েছেন ভজা।
সাগরদীঘির বিধায়কের বাড়ি ও হাসপাতালে আয়কর হানা
ইডি সুত্রে দাবি, বিগত ১২ বছরে তাঁর সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক লেনদেনের হিসাব সহ তাঁকে তলব করা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতি মামলায়। তিনিই নাকি ওই দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে আর্থিক লেনদেন করতেন। কয়েক কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন তাঁর হাত দিয়েই হয়েছে। তা ছাড়াও ভজার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল আর এক ‘কীর্তিমান’ কালীঘাটের কাকু তথা লিপ্স অ্যান্ড বাউন্সের অন্যতম শীর্ষকর্তা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের। সুজয়কে তাঁরা সান্তু দা ডাক নামেই সম্বোধন করতো। পার্থ মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই আপ্তসহায়কের কাজের পাশাপাশি মন্ত্রীর মিনিবাস দেখভালের কাজও নাকি করতো ভজা। ভজা ডাক পাওয়ায় তাঁর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেকেই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে ভজা কি গ্রেফতার হবে? সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। ইভিএম নিউজ