ব্যুরো নিউজ, ২৯ নভেম্বর: ১৭ দিন পর সুড়ঙ্গের বাইরে ৪১
মঙ্গলবার ঠিক রাত ৮ টায় সুড়ঙ্গে আটক প্রথম শ্রমিক বেরোতেই আনন্দে মুখর হলো সারা দেশ। এর পরেই ট্রলিতে শুইয়ে একে একে শ্রমিকদের বের করে আনা হয় সুড়ঙ্গ থেকে। রাত্রি ৯ টার মধ্যেই শেষ হলো উদ্ধারকাজ। তবে, আনন্দের অশ্রু দুই চোখ দিয়ে নেমেছে আটক শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের। বাইরে বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা।
শাহকে চিঠি সায়নীর | কী লিখলেন যুব নেত্রী?
উত্তরকাশির সিল্কিয়ারায় বারকোট সুড়ঙ্গে রাত্রি ৯ টার পর আর কারো নজর ছিল না। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের বের করে আনার সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামী জানিয়েছেন, আটক শ্রমিকদের অবস্থা সুড়ঙ্গের বাইরে আসা পর্যন্ত যথেষ্ট ভালো। তথাপি তাদের চিন্যালীসৌড়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে। বাইরে বেরিয়ে আসা শ্রমিকদের চোখে মুখে ছিল আত্মবিশ্বাসের ছাপ। বাংলার ৩ শ্রমিক বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই ফোনে কথা বলেছেন পরিবারের সদস্যদের সাথে। হুগলীর পুরশুড়ার হরিনখালির বাসিন্দা জয়দেব প্রামানিক ও সৌভিক পাখিরা, কোচবিহারের তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদার বাইরে বেরিয়ে এসেই জড়িয়ে ধরে তাদের আত্মীয়দের। মানিকের ভাইপো বিনয় দশদিন ধরে কাকার জন্য পরে ছিল সুড়ঙ্গের বাইরে। কাকা বেরিয়ে এসেই বিনয়কে জড়িয়ে ধরে প্রথমেই জানতে চান বাড়ির লোকেরা কেমন আছে। মানিক বেরিয়েই টেলিফোনে প্রতিক্ষার প্রহর গুনে অসুস্থ স্ত্রী সোমার সঙ্গে কথা বলেন। তখনই যেন সোমা অনেকটা সুস্থ। পরে কথা বলেন ছেলে মনির সঙ্গে। বাড়ির সকলেই চাইছেন দ্রুত বাড়ি ফিরুক আটক শ্রমিকেরা। বঙ্গের ৩ শ্রমিকের পরিবারই বলছে আর যেতে দেব না। কিন্তু তার পরেই তাঁরা বলছেন পেট বড় বালাই। এ রাজ্যে তো কাজ নেই।
উদ্ধার শ্রমিকদের ১ লক্ষ টাকা করে সাহাজ্যের ঘোষণা করেছে উত্তরাখণ্ডের সরকার। এ রাজ্যের থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি টিম পাঠিয়েছেন। বিজেপি অবশ্য জানিয়েছে, চারধাম যাত্রার পথ তৈরিতেই এই সুড়ঙ্গ কাটা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এটি স্বপ্নের প্রকল্প। পাহাড়ি সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজে এটি ভারতের ইতিহাসের বৃহত্তম সাফল্য। তবে, শ্রমিকেরা আলোয় ফেরায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে আক্রমন শানানোর হাতে গরম সুযোগ পেলো না বিরোধীরা। ইভিএম নিউজ
