মন
ব্যুরো নিউজ, ১১ অক্টোবর: আমাদের মন আমাদের অধিকার 
১০ ই অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সারাবিশ্বে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই দিবসটি পালন করা হয়। স্বাস্থ্য আমাদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এই সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ ও তার পরিচর্যা সম্পূর্ণ নির্ভর করে তাদের পারিপার্শ্বিক ও অভ্যন্তরীণ ভারসাম্যের উপর। এই ভারসাম্য যখন বিঘ্নিত হয় তখন তাকে অসুস্থতার তকমা দেওয়া হয়। আমাদের শরীরের মতো আমাদের মনও নানাভাবে অসুস্থ হতে পারে। সেটা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু দুঃখের কথা এই যে এখন প্রচুর মানুষ আছেন যারা এই অসুস্থতাকে সামাজিক বোঝা মনে করেন। যার জন্য পরবর্তীকালে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের।
এই হীনমন্যতা দূর করার উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ১০ই অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় World Mental Health Day।
World Federation of Mental Health এর উদ্যোগে ১৯৯২ সালে প্রায় ১৫০ টিরও বেশি দেশের সদস্য মিলে সর্বপ্রথম এই দিনটি পালন করেন। মানসিক অসুস্থতা ও সেই সংক্রান্ত শিক্ষা সচেতনতা বৃদ্ধি করাই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ এই দিনটিতে অংশগ্রহণ করে। এই মানসিক অসুস্থতা সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে একই রকম  প্রতিক্রিয়া ফেলে।
Deputy Secretary General Richard hunter এর তত্ত্বাবধানে ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এই দিনটির কোন নির্দিষ্ট দিন ছিল না।  প্রথম ১৯৯৪ সালে বিশ্ব মানসিক অসুস্থতা দিবসের একটি থিম আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সর্বপ্রথম থিমটি ছিল, ‘সারা বিশ্বে মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কিত পরিষেবাগুলির মান উন্নত করা’।
২০১৯ এর থিম ছিল ‘মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি করা ও আত্মহত্যা প্রতিরোধ।’
পৃথিবীতে অসমতার সুস্পষ্ট এই অসমতা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রে। মানসিক স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যর একটি অবিচ্ছেদ্য ও মৌলিক অংশ। স্বাস্থ্যের তিনটি মৌলিক উপাদান শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সুস্থতা। কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই আমরা স্বাস্থ্য বলতে শারীরিক সুস্থতাকে গুরুত্ব দিই ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভুলে যাই। আমাদের চলন বলন কথা বলার ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা কর্মস্পৃহা আবেগ অনুভূতি সবকিছুর মূলেই রয়েছে মন। মন যদি অসুস্থ হয় তবে অন্যান্য সব কিছুর সঙ্গেই চিন্তা চেতনা বিচার বিশ্লেষণ স্তব্ধ হয়ে যায়। করোনা মহামারির পরের পরিস্থিতিতে জনসাধারণের মানসিক স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশ্ব সভ্যতা বিকশিত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তর বৈষম্য ও নানাবিধ অসমতা রয়ে গেছে দেশে দেশে। এ অসমতা অর্থনৈতিক, সামাজিক এমনকি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও। স্বাস্থ্যের দিকে যদি তাকাই তাহলে মানসিক স্বাস্থ্য আরও বেশি উপেক্ষিত। অথচ সুখী, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন মানবিক বিশ্ব গঠনে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন, আসুন মনের কথা ভাবী মাথার কথা ভাবি, স্বাস্থ্য বলতে শুধু শরীরের উত্তাপ মাপা আর আর পালস অক্সিমিটার এ অক্সিজেনের মাত্রা নির্ণয় এর বাইরে বেরিয়ে আমাদের মনের উত্তাপ পরিমাপ করি। শারীরিক এবং মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই সুস্থ থাকুন সকলে অবশ্যই পাশের মানুষগুলো সঙ্গে। ইভিএম নিউজ  

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর