ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৬ই মার্চঃ  গত বছর  জুলাইয়ে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাসি চালিয়ে কোটি কোটি অঙ্কের টাকার পাহাড় উদ্ধার করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।স্তূপের আকারে সাজানো ছিল ৫০০ ও ২০০০ টাকার বান্ডিল বান্ডিল নোট। শুধু তাই নয় , সেখানে ছিল সোনার গয়না, সোনার বার, ভারী ভারী সোনার বালা এমনকি সোনার পেনও।

এরপর তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগিয়েছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে। বেশ কিছু নথিও পাওয়া গিয়েছিল সেই ফ্ল্যাটে। যা থেকে ইঙ্গিত মিলেছিল পার্থ ও অর্পিতার যোগাযোগ ছিল ২০১২ সাল থেকে। উভয়ের নামে একাধিক যৌথ সম্পত্তিরও হদিশ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা দাবী করেছিল,  অর্পিতা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছেন যে উদ্ধার হওয়া সমস্ত টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু গ্রেফতারের পর থেকেই বার বার জেরা করা সত্ত্বেও বাংলার প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী কখনই অর্পিতার সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা তদন্তকারীদের সামনে স্বীকার করেননি।

গত মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি চলাকালীন এজলাসের ভিতরে থাকা এলইডি স্ক্রিনে পার্থ-অর্পিতাকে বারংবার নিজেদের মধ্যে খুনসুটি করতে দেখা যায়। সেই সময় আদালতে  উপস্থিত আইনজীবীদের পাশাপাশি  বিষয়টি বিচারক নিজেও নজরবন্দী করেছেন।

ইডি সুত্রের খবর, শুনানি চলাকালীন এই দুই অভিযুক্তের খুনসুটি  দুর্নীতির বৃহত্তম ষড়যন্ত্রের যথাযথ তথ্য প্রমাণ না হলেও বেআইনি  টাকা লুঠের ঘটনা থেকে নিজেকে আড়াল করার উদ্দেশ্যে অর্পিতার সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা অস্বীকারের মাধ্যমে পার্থ যে তদন্ত প্রক্রিয়াকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন তা প্রকাশ্য আদালতে প্রমাণিত হল। একই মত আইনজীবী মহলের একাংশেরও।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর