ব্যুরো নিউজ, ১ ফেব্রুয়ারি: অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ খারিজ কোর্টের
রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহধন্য নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে শান্তিনিকেতনে তাঁর বাসভবন প্রতীচী সংলগ্ন ১৩ ডেসিমেল জমি থেকে উচ্ছেদ করার আবেদন খারিজ করল সিউরি জেলা আদালত। আর এর ফলেই জয় হল অশীতিপর অমর্ত্য সেন। রাজ্য সরকারও স্বস্তি পেল। অমর্ত্য সেনের আইনজীবী বিমান চৌধুরী জানিয়েছেন, অমর্ত্যের বিরুদ্ধে এই আবেদন খারিজ করেছে আদালত। বিশ্বভারতীর আনা উচ্ছেদের নোটিশ প্রতিহিংসা পরায়ণ। বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এই আবেদন একেবারেই করতে পারেনা। আদালত জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আদালতে তাঁদের অভিযোগের সপক্ষে পর্যাপ্ত নথি আদালতে পেশ করতে পারেনি। তাই আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে প্রতীচী-র ১৩ ডেসিমেল জমি অমর্ত্য সেনেরই।
অবশেষে জ্ঞানবাপী মসজিদে হল পুজো
অথচ বিদ্যুৎ চক্রবর্তী টানা অভিযোগ করে গেছে এই ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমর্ত্য সেনের পাশে দারিয়ে ছিলেন। ওই বিষয়টি নিয়ে মামলা হাইকোর্টে এলে, হাইকোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দিয়ে সিউরি জেলা আদালতে মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী র বিরতুদ্ধে অভিযোগ, যে তিনি এতটাই প্রতিহিংসা পরায়ণ ছিলেন যে, নোটিশে তাঁরা উল্লেখ করেছিল জট তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই ১৩ ডেসিমেল জমি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দিয়ে হবে। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ দিন দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর আবেদন খারিজ করেছে আদালত। আর এর ফলেই অমর্ত্য সেনের জয় হয়েছে বলে তাঁর আইনজীবীরা দাবি করেছেন। অমর্ত্য সেনকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি সংক্ষিপ্ত জবাবে বলেন, ‘খুশি হলাম’। ঠাকুর পরিবারে অবশ্য প্রাক্তন অধ্যাপক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। বিশ্বভারতীর টাকায় উনি মামলা লড়েছেন। সেই টাকা তাকে ফেরৎ দিতে হবে। অমর্ত্য সেনের পারিবারিক বন্ধু গিতিকণ্ঠ মজুমদার ও অনেকেই বলেন, সত্যের জয় হল। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অমর্ত্য সেনের মতো নোবেল জয়ীকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে বিশ্বভারতী উচ্চ আদালতে যাবে অথবা কি উপায় অবলম্বন করে সে দিকেই তাকিয়ে আছে অনেকে। এখনও আদালতের রায়ের কপি পায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো জানিয়েছেন আদালতের রায়ের কপি তাঁরা হাতে পাওয়ার পরেই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে ভাববেন। ইভিএম নিউজ