তো

ব্যুরো নিউজ, ১৯ অক্টোবর: অভিনয় তো বটেই,সংসার জীবনেও দক্ষ দুজন

অভিনয় দক্ষতা তো বটেই, সেই সঙ্গে নিজেদের অসামান্য সম্পর্কের কারণেও বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন নাসিরুদ্দিন শাহ ও রত্না পাঠক। যদিও তাঁদের সম্পর্কের পথটা একেবারেই সহজ সরল  কিন্তু ছিলো না। কারণ একে তো অন্য ধর্মের ও অন্য দিকে বিবাহবিচ্ছেদও হয়েছে। এহেন ছেলেকে কিছুতেই মেয়ের জন্য সঠিক বলে মনে হয়নি রত্নার পরিবারের। তবে অভিনেত্রীও নাছোড়বান্দা। কারণ তিনি তখন নাসিরুদ্দিনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন।

আলতাফ রাজাকে মনে পরে? এখন কি করছেন তিনি? জানেন? 

দাম্পত্য জীবনের প্রায় ৪১ বছর পরে নিজেদের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন রত্না পাঠক শাহ। ১৯৭৫ সাল। সত্যদেব দুবের নাটকের রিহার্সালে প্রথম আলাপ নাসিরুদ্দিন ও রত্নার। সেই আলাপই ধীরে ধীরে পরিনত হয় প্রেমে। যদিও বিষয়টি তখন এতটা বোধগম্য ছিল না। কারণ সেই সময় অভিনেতা বিবাহিত ছিলেন। এমনকী, তখনও স্ত্রী পারভিন মুরাদের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি তাঁর। আর কন্যা হিবার দায়িত্বও ছিল তাঁর উপর। তবে স্ত্রী ও কন্যা থাকা সত্ত্বেও নাসিরুদ্দিন শাহের প্রথম বিয়ে নিয়ে পরোয়া করেননি রত্না। এমনটা জানিয়েছেন স্বয়ং অভিনেত্রীই। এক সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপচারিতায় রত্না বলেন, “আমরা তখন একটা নাটক করছিলাম। আর তা করতে করতেই খুব কম সময়ে বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই। আমি বোধহয় বোকা ছিলাম যে, বেশি প্রশ্ন করিনি। ভেবেছিলাম বেশ ভালই তো লাগছে। তাই চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে”।

সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নাসিরুদ্দিনের সঙ্গেও গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন রত্না। বিয়ের পরে মধুচন্দ্রিমায় গেলেও অভিনেতার কাজের কমিটমেন্টের কারণে তাঁদের একান্তে বেশি সময় কাটানোর সুযোগও হয়নি। তাড়াতাড়িই ফিরতে হয়েছিল। এমনও সময় গিয়েছে, যখন কাজের কারণে দিনের পর দিন তাঁদের দেখা হয়নি। তা সত্ত্বেও অটুট তাঁদের সম্পর্ক। এমনকী তা দৃষ্টান্তও বটে। বর্তমানে ‘ধক ধক’ ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাচ্ছে রত্না পাঠক শাহকে। ওই ছবিতে রয়েছেন দিয়া মির্জা, সঞ্জনা সাংঘি ও ফতিমা সানা শেখের মতো অভিনেত্রীরাও। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর