ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ অনেক আঁটঘাট বেঁধেও শেষরক্ষা হল না। রেলপুলিশ বাহিনীর কড়া নজরদারি এড়াতে পারলেও, এড়ানো গেল না স্নিফার ডগের নাক। আরপিএফের পোষ্য আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নিফার ডগ ডিউকের নাকের কেরামতিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে হাওড়া স্টেশনে বেআইনি মদ পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক মহিলা। এদিন রাতে দূরপাল্লার ট্রেন তল্লাশি সময় এক মহিলাকে দেখে হঠাৎই তাঁর ব্যাগটি শুঁকতে শুরু করে অবলা ডিউক। আর তারপরেই সে ধাওয়া করে ওই মহিলাটিকে। ডিউকের এমন আচরণে হাওড়া স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফের সন্দেহ হয়। তাঁরাও ডিউকের সাথে সাথে ওই মহিলার ওপর নজর রাখে।

অবশেষে ডিউক ওই মহিলার পথ আটকে তাঁর সঙ্গে থাকা দুটি ট্রলি ব্যাগ শুঁকতে শুরু করে। তৎক্ষণাৎ আরপিএফ কর্মীরা ওই ব্যাগদুটি তল্লাশি করলে, সেগুলির মধ্যে প্রায় দু’ লক্ষ টাকার বিদেশি মদের বোতল পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া সূত্রে রেলপুলিশ জানতে পেরেছে, এই মদগুলি কলকাতার বিলাসবহুল এলাকায় পাচার করার উদ্দেশ্যেই দিল্লি থেকে নিয়ে এসেছিলেন, সাথী বিশ্বাস নামের ওই মহিলা। তাঁর সঙ্গে ছিল রাজেন্দ্র সিং নামের আরও এক ব্যক্তি। আরপিএফ ধাওয়া করছে দেখে গা ঢাকা দেয় সে।

হাওড়া আরপিএফ সুত্রে খবর, কলকাতা-সহ বিভিন্ন শহরতলির বিলাসবহুল এলাকায় এজেন্টের মাধ্যমে বিদেশি মদের জোগান দিতেন এই সাথী বিশ্বাস। এই কাজের জন্য প্রতিটি সফরে তিনি পারিশ্রমিক হিসাবে পাঁচ হাজার টাকাও পেতেন বলে যে রায় জানিয়েছেন সাথী বিশ্বাস নামের ওই ধৃত মহিলা।

পূর্ব রেলের আধিকারিক বলেন, ট্রেনে মদপাচার গুরুতর অপরাধ।একইসঙ্গে এই কাজ যাত্রীস্বার্থেরও পরিপন্থী। তাই এই ধরনের পাচারকাণ্ড রুখতে ‘অপারেশন সতর্ক’ নামে আরপিএফের একটি দলও রয়েছে। ভবিষ্যতে এই ব্যাপারে আরও কঠোর অভিযানে নামার কথা জানিয়েছে রেলকর্তৃপক্ষ।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর