ছোট

ব্যুরো নিউজ, ৩০ অক্টোবর: সবথেকে ছোট ছবি আঁকার স্ট্যান্ড তৈরি করলো কাকদ্বীপের ছাত্রী

 অবিশ্বাস্যকর প্রতিভা দিয়ে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে নাম তুললো কাকদ্বীপের দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী কোয়েল পুরকাইত। দেশলাই কাঠি দিয়ে ৩.৯×৩.৪ সেমি ছবি আঁকার স্ট্যান্ড বানিয়েছে সে। কোয়েল দক্ষিন ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের সুভাষ নগরের বাসিন্দা। সে কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকার দিকে বিশেষ আগ্রহ ছিল তার।

কালীপুজোয় কদর কমেছে মাটির প্রদীপের, তবুও আশায় মৃৎশিল্পীরা

কোয়েলের বাবা কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। মাত্র ৩ বছর বয়েস থেকে সে ছবি আঁকা শুরু করে। এরপরে কাকদ্বীপের সুন্দরবন আর্ট একাডেমিতে  সে ছবি আঁকা শেখে। কোয়েলের এই কৃতিত্বে খুশি সকল কাকদ্বীপবাসী। এই খবর পাওয়ার পর থেকে কোয়েলকে সম্বর্ধনা জানাতে সকলে ভিড় জমিয়েছে কোয়েলের বাড়িতে।

 

কোয়েল ছবি আঁকার সুবাদে এই এলাকায় পরিচিত ও বেশ জনপ্রিয়। সে জানায়, ২ মাস আগে দেশলাই কাঠি দিয়ে ৩.৯ সেমি একটি ছবি আঁকার স্ট্যান্ড তৈরি করে দিল্লিতে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ড সংস্থার কাছে আমি পাঠাই। এরপর ২ মাস পরে আমার মেইল আইডিতে একটি ইমেইল আসে ওই সংস্থার তরফ থেকে।  তারা জানায় যে, আমার এই স্ট্যান্ড জায়গা করে নিয়েছে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে। সে তার এই  কৃতিত্বের পিছনে তার ছবি আঁকার স্যার দেবরাজ বেরাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। আমরা ছবি আঁকার বহু বড় বড় স্ট্যান্ড দেখেছি কিন্তু ছোট স্ট্যান্ড আমরা কেউ দেখিনি। ইচ্ছা ছিল ছোট স্ট্যান্ড বানানোর। আর এরপর ৩  থেকে ৪ মাসের অধ্যবসায়ের পর আমি এই প্রতিভা রপ্ত করতে পেরেছি। আগামী দিনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে আমি ছবি আঁকা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই।

 

মেয়ের এই সাফল্যে কোয়েলের মা মিঠু পুরকাইত বলেন, মেয়ের  এই সাফল্যে পরিবারের লোকজনেরা সকলেই খুশি। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকাতে বিশেষ পারদর্শীতা ছিল কোয়েলের। পরিবারের পক্ষ থেকে কোয়েলকে ছবি আঁকার বিষয় নিয়ে কোন বাধা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা জানান, কোয়েল কাকদ্বীপের গর্ব। কোয়েলের এই সাফল্যে খুশি কোয়েলের স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর