ব্যুরো নিউজ, ১৫ জানুয়ারি: শীর্ষ আদালতে পিছিয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি
ফের শীর্ষ আদালতে পিছিয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি। ফলে বহাল থাকল আদালতের আগের নির্দেশ। পূর্ব নির্দেশ মতো এখনই কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না পর্ষদ। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ২২ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।
সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমন রাজ্যপালের
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তিতে প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের কথা জানায়। তাঁরা এই বিজ্ঞতিতে উল্লেখ করেন টেট উত্তীর্ণ ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রশিক্ষণরত ডিএলএড প্রার্থীরা ও ওই কোর্সের প্রথম বর্ষের উত্তীর্ণরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। সেই মতো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে পর্ষদ। এরপর পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। তখন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তে মান্যতা দেন।
তবে, পরে হাই কোর্টের তত্কালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে জানায়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে গেলে তাঁদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে। পরে অবশ্য দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ ডিএলএড প্রশিক্ষণ শেষ করা প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়ার কথা জানায়।
প্রসঙ্গত, মূল মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় যুক্তি দেন, পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জুন মাসে ওই কোর্সের ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষ শেষ হচ্ছে। আর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে নভেম্বর মাস থেকে। ফলে ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদের সুযোগ দেওয়া উচিত। গত বছর ২৮ জুলাই ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চে ওঠে ওই মামলাটি। সমস্ত কিছু শুনে তাঁরা জানায়, আদালতের নির্দেশ ছাড়া ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না পর্ষদ। তার পর থেকে মামলাটির শুনানি একাধিক বার পিছতে দেখা গিয়েছে। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, আগামী ২২ জানুয়ারি মামলাটির ফের শুনানি হবে। সে দিন নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে জট কাটে কি না সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ইভিএম নিউজ