ব্যুরো নিউজ,২৬ মার্চ : বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ রামনবমী উৎসবের আগে হিন্দুদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি, আত্মরক্ষার স্বার্থে অস্ত্র হাতে নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। তার এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কেউ একে হিন্দুদের নিরাপত্তার বার্তা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
৩১ বছর ধরে আজও বজায় রেখেছে ঐতিহ্য, হাওড়ার কোলে পরিবার
রামনবমী হিন্দুদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব, যা ভগবান শ্রী রামের জন্মদিন হিসেবে উদযাপিত হয়। সাধারণত এই দিনে শুভাযাত্রা, কীর্তন ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যে রামনবমীর শোভাযাত্রায় অস্ত্র প্রদর্শন এবং উত্তেজনাপূর্ণ স্লোগান দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে বিতর্ক চলছে।দিলীপ ঘোষ তার বক্তব্যে বলেছেন, “আমাদের ইতিহাসে দেখা গেছে, হিন্দুরা যখনই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য অস্ত্র ধরেছে, তখনই তারা নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছে। অতীতে হিন্দু রাজারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র ধারণ করতেন, আর আজকের দিনে আমাদেরও সেই ঐতিহ্য অনুসরণ করা উচিত।”
পাঞ্জাব বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু, আপ সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিরোধীদের
এই মন্তব্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, দিলীপ ঘোষকে তীব্র আক্রমণ করেছে। তাদের মতে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে অস্ত্র ধারণের কথা বলা আসলে একটি রাজনৈতিক চাল, যা ভোটব্যাংকের হিসাব-নিকাশের জন্য করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো সংবেদনশীল রাজ্যে এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।প্রত্যুত্তরে বিজেএপি জানান ধর্মীয়ও সভার নামে অন্যরা যারা ঊশকাণী মূলোক কথা বলেন ও প্রকাশ্যে অস্তর তূলে ধরে তক্ষণ সেইগুলো এদের চোখে পড়েনা।
দিল্লী ভোটের আগে যমুনা নদী ইস্যুতে কেজরিওয়ালকে তীব্র আক্রমণ রাহুল গান্ধির
এখন প্রশ্ন এটাই হলো, ধর্মীয় বিশ্বাস ও আত্মরক্ষার নামে অস্ত্র হাতে নেওয়া কি আদৌ গ্রহণযোগ্য? ভারতীয় সংবিধান নিরস্ত্র সমাজের পক্ষে এবং আত্মরক্ষার জন্য আইন ও প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখার কথা বলে। ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করাই কাম্য, অস্ত্র প্রদর্শন করলে তা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।দিলীপ ঘোষের বক্তব্য আত্মরক্ষার বাস্তবতা নাকি রাজনৈতিক কৌশল—এ নিয়ে বিতর্ক থাকবেই। তবে এটি স্পষ্ট যে, ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে অস্ত্রের প্রচার সামগ্রিক সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।