ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৮ এপ্রিলঃ এবার মদ্যপানের কুপ্রভাব বোঝাতে অভিনব উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। রোগীকে পরামর্শ দেওয়ার আগে চিকিৎসকেরা যাতে নিজেদের ভাবমূর্তি স্থাপন করতে পারে, সেই মর্মেই দেশের সকল চিকিৎসক সংগঠনগুলিকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার। চিকিৎসা সংক্রান্ত আলোচনা সভা কিংবা কর্মশালা হোক বা সেমিনার, মদ নিষিদ্ধ করতে এবার অ্যাডভাইসরি জারি করল কেন্দ্র। সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসকদের এগিয়ে আসার পরামর্শ স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আর নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই হেন পদক্ষেপকে রীতিমতো সমালোচনা করেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।
এই প্রসঙ্গে, ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিস (DGHS) অতুল গোয়েল চিঠিতে লেখেন, চিকিৎসকদের যেসব সম্মেলন হয়, সেমিনার বা কর্মশালা। সেখানে ডিনার বা লাঞ্চের সঙ্গেই থাকে দামী মদের (Alcohol) আয়োজন। এবার থেকে সেটা বন্ধ করা হোক।অন্যদিকে কেন্দ্র এটিকে ‘চ্যারিটি বিগন্স অ্যাট হোম’ হলেও ব্যাখ্যা করে। পাশাপাশি এটাও বলা হয়, চিকিৎসক নিজে মদ্যপান করেন তাঁর কি নৈতিকতা রয়েছে রোগীকে মদ্যপান বন্ধ করতে বলার? কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এদেশে সংক্রমণ ছাড়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পরিমাণ প্রায় ৬৩ শতাংশ। আর এদের মধ্যে ২৭ শতাংশ মানুষ হৃদরোগের কারণেই প্রাণ হারান।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র সঙ্গে যৌথভাবে এদেশের মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালায় কেন্দ্র। আর সেখানেই মদ্যপানের জেরে রোগে আক্রান্তদের জীবনহানি সম্পর্কে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।এছাড়া শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে ১১ শতাংশ, এবং ক্যানসারের জেরে ৯ শতাংশ ও ডায়াবেটিসের জেরে ৩ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ক্যানসারের পিছনে বেশ কয়েকটি কারণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল ওই সমীক্ষায় । WHO-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্রের করা সমীক্ষায় গত কয়েক বছরে ভারতে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, মদ্যপেয়ীদের যকৃত ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও অ্যালকোহলের জেরে অন্ত্র ও কোলন ক্যানসারেও আক্রান্ত হন অনেকেই। আবার মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান অনেক সময় হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে জানিয়েছেন ।অন্যদিকে মদ্যপানের জেরে পারিবারিক হিংসা বা অপরাধ প্রবনতা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। (EVM News)