ব্যুরো নিউজ, ২৮ ডিসেম্বর: বিপাকে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী! ইডির চার্জশিটে প্রিয়ঙ্কা!
বিপাকে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। ইডির চার্জশিটে রয়েছে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নাম। আর্থিক কারচুপির অভিযোগ প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে।
একযোগে শহরের ন’টি জায়গায় ইডি অভিযান
প্রথমবার আর্থিক প্রতারণা মামলার চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কার নাম উল্লেখ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রসঙ্গত, হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটি কৃষিজমি কেনা-বেচা ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। ইডির দাবি, ২০০৬ সালে দিল্লির এক রিয়েল এস্টেট এজেন্ট-এর কাছ থেকে হরিয়ানায় ৪০ একরের তিনটি কৃষিজমি কিনেছিলেন প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরা। ২০১০ সালে আবার সেই রিয়েল এস্টেট এজেন্টের কাছেই ওই জমি বিক্রি করে দেন। এই জমি কেনা-বেচা ঘিরেই বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে ইডির দাবি।
গত মঙ্গলবার ইডির চার্জশিটে প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরার নাম ছিল। বেআইনি আর্থিক লেনদেনে ‘মিডলম্যান’ তথা অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারির নামও জড়িত। বর্তমানে ওই ব্যবসায়ী পলাতক। এবং সেও তালিকায় প্রবাসী ব্যবসায়ী সিসি থাম্পিরও নাম রয়েছে। এবার জড়াল কংগ্রেস নেত্রীর নামও।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাবি, আর্থিক দুর্নীতি করে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই লন্ডনে সম্পত্তি কিনেছিলেন ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারি। সেই সম্পত্তিতেই বসবাস করতেন প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা। একাধিক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত প্রবাসী ব্যবসায়ী সিসি থাম্পির সঙ্গেও নাকি গভীর সম্পর্ক রয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরার। ED-র মতে, বঢরা এবং থাম্পির মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। তারা দুজনেই একই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
২০১৬ সালে ব্রিটেনে পালিয়ে যান ভান্ডারি। ইডি ও সিবিআইয়ের আবেদনেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভারত সরকার ব্রিটেনের কাছে পলাতক ওই ব্যবসায়ীকে দেশে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানায়।
গান্ধী পরিবারের দুই সদস্য সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি-সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছেন। এরই মধ্যে আর্থিক প্রতারণা মামলার এবার ইডির চার্জশিটে যোগ হলো কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নামও। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট চাপের মুখে গান্ধী পরিবার। ইভিএম নিউজ