ব্যুরো নিউজ, ৩০ আগস্ট: ফের ধর্ষণের বলি নাবালিকা! আবারও এক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটলো এই রাজ্যে। বলি হচ্ছেটা কি? এ কোন জঙ্গলের রাজত্বে বসবাস করছি আমরা? পুলিশ প্রশাসন বলে কি আদৌ কিছু আছে এ রাজ্যে? নাকি থাকলেও দুর্বৃত্তরা অকুতোভয়? ১০ দিনের মধ্যে পরপর তিনটি ধর্ষণের ঘটনা?
ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল আগরতলা
মাটিগাড়ার পর এবার নকশালবাড়ি। ১৭ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল চন্দন কর্মকার নামে ২৮ বছরের এক বিবাহিত যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকা সোমবার সন্ধ্যায় তার বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে এক যুবক তার মুখ চেপে ধরে রেললাইন লাগোয়া একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। দৃশ্যটি স্থানীয় এক বাসিন্দার নজরে পড়লে তিনি চিৎকার করাোড়া প্রতিবেশীরা সেখানে ছুটে আসে। স্থানীয়রাই ওই নাবালিকাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। প্রশাসনের কর্তারাই তারপর মেয়েটিকে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নিকটবর্তী মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করেন।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন বার বার এই নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে? কেন দুর্বৃত্তরা এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটাচ্ছে? দুর্বৃত্তদের পিছনে এমন কোন শক্তি-বল কাজ করছে যে তারা আইনশৃঙ্খলাকেও বারবার বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছে?
বারেবারে রাজ্যে এই ধরনের নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় নিজেদেরকে অত্যন্ত অসুরক্ষিত বোধ করছেন রাজ্যের মহিলারা। ধর্ষিতার এক প্রতিবেশীর আতঙ্কিত বক্তব্য, “সপ্তাহখানেক আগে স্কুল ছাত্রীকে খুন করা হলো। এই মেয়েটির সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলো। একজন নারী হিসেবে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। আমরা দোষীর মৃত্যুদণ্ড চাই”।
মাটিগাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনার পর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি মন্তব্যকে নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। শুভেন্দু বলেছিলেন, “যোগীর উত্তরপ্রদেশের মতো এ রাজ্যেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে, ধর্ষণকারীকে সরাসরি এনকাউন্টার করা উচিৎ”।
নকশালবাড়িতে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনার পর সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারাও কিন্তু শুভেন্দুর সুরে সুর মিলিয়েই দোষীর সরাসরি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানাচ্ছেন। ইভিএম নিউজ