ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১০ মার্চঃ এতদিন চিনের স্পাই বেলুন নিয়ে মত্ত ছিল গোটা দুনিয়া। টানা বেশ কয়েকদিন গোটা পৃথিবীর সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে ছিল চিনা গোয়েন্দা বেলুন এবং সেই সংক্রান্ত বিতর্কের খবর। চিন বনাম পশ্চিমী দুনিয়ায় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক লড়াই এক নতুন মাত্রা পেয়েছিল। কিন্তু সেটা ছিল আন্তর্জাতিক স্তরের ব্যাপার। এবার খোদ বাংলার বুকে দেখা মিলল স্পাই ক্যাম লাগানো প্যারাসুটের। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোলপাড়া গ্রামে শুক্রবার সকালে এলাকার মানুষজন মাঠের মধ্যে স্পাই ক্যামেরা লাগানো প্যারাসুটের অংশ ও সার্কিট বোর্ড দেখতে পান। প্যারাসুটের সেই অংশ ও সার্কিট বোর্ডটি মাঠ থেকে উদ্ধার করে সোনাচূড়া বাজারে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। এই খবর জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বাসিন্দারা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় নন্দীগ্রাম পুলিশ। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে নন্দীগ্রাম পুলিশ।
তবে এই নিয়ে স্থানিয়দের একটাই প্রশ্ন, এলাকায় তো কোনও প্যারাসুট রাইডিং হয় না, তাহলে কোথা থেকে এলো এই প্যারাসুট?পুলিশ সূত্রে খবর, সোনাচূড় পঞ্চায়েত এলাকার মাঠ থেকে উদ্ধার হওয়া এই প্যারাসুটের কাপড়ের রঙ সাদা। ঠিক যেমনটা চিনা স্পাই বেলুনের কাপড়ের রঙ ছিল। এছাড়াও এই বেলুনের ভিতর থেকে একটি সার্কিট উদ্ধার হয়েছে। সেই সার্কিটের মধ্যে একটি স্পাই ক্যামেরাও লাগানো ছিল। এই স্পাই প্যারাসুট দেখার জন্য এলাকায় ভিড় জমে যায়।
এই প্রসঙ্গে গ্রামের উপপ্রধান কালীকৃষ্ণ প্রধান বলেন, “আমাদের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি মাঠে রাতের বেলা প্যারাশুট পড়েছে। সম্ভবত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। প্যারাশুট দেখার জন্য স্থানীয়দের মধ্যে প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাজীব বারুই বলেন, “আগেও মহিষাদলের মাঠ থেকে রিমোট চালিত হেলিকপ্টার উদ্ধার হয়েছিল। বারবার কেন এখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, তা প্রশাসনের খতিয়ে দেখা উচিত।”
প্রশাসনের তরফে এই প্যারাসুট নিয়ে তদন্ত চলছে। কে বা কারা কি কারণে এমন কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।