ইভিএম নিউজ, ১০ মার্চঃ তুরস্কের ভুমিকম্প দেখতে দেখতে এক মাস হয়ে গেলো। এখনো সেখানে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার কাজ চলছে। আর এরই মাঝে আবারও ঘটে গেলো চমকপ্রদ ঘটনা। প্রায় এক মাস পর একটি ধ্বংসাত্মক বাড়ির বেসমেন্ট থেকে উদ্ধার হল জিবন্ত একটি মা কুকুর ও তার তিন ছানা। অন্ধকার জায়গায় মাটির নিচে প্রায় ৩০ দিন সিমেন্টের চাঙড়, বালির মাঝেও বেঁচে ছিল তারা। যা সবার কাছে এমনকি উদ্ধারকারীদের কাছেও সত্যিই আশ্চর্যের বিষয়।
তবে মা ও তিন ছানা দিব্যি সুস্থ আছে। বেসমেন্ট থেকে বেড়িয়ে বেশ ফুর ফুরে মেজাজেই রয়েছে তারা। মৃত্যুর পাহাড় থেকে নতুন জীবিত প্রান দেখে সেখানকার সকল বাসিন্দাই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। তুরস্কের উদ্ধারকারি দল জানাচ্ছে, এই মা কুকুরের নাম সিলা। এটি ডোবারম্যান প্রজাতি। সিলার তিনটি বাচ্চাই সুস্থ রয়েছে। কিন্তু একটু ভীত রয়েছে। তারা আরও বলেন, উদ্ধারকারীরা যখন তাদের পায় তখন দেখে একটি বাস্কেটের ভিতর তিন ছানাকে নিয়ে রয়েছে ওই মা কুকুর। বাস্কেটের ভিতর ছিল বলে কোনও আঘাত লাগেনি তাদের শরীরে। কিন্তু প্রশ্ন এখন একটাই কি করে এতদিন বেসমেন্টের ভিতর খাবার, জল না খেয়ে তারা রয়েছে?
সিলার মালিক কাদির কিইফলি ভূমিকম্পে মারা যাননি। তিনি জীবিতই রয়েছেন। তিনি বলেন, ভূমিকম্পে যখন বাড়ি ধসে পড়ে তখন তাঁদের উদ্ধার করে ত্রান শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেইসময় কুকুরটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সিলার মালিক অনেক অনুরোধ করেছিলেন উদ্ধারকারীদের কাছে কিন্তু কেউ ওই ধংসস্তূপের নিচে ঢুকতে চায়নি। তাই কাদির ভেবেছিল হয়ত তার পোষ্য এতদিনে আর বেঁচে নেই। কিন্তু যখন উদ্ধারকারীরা তাকে এবং তার সন্তানদের ওই বেসমেন্ট থেকে বার করে আনলেন তখন আনন্দে আত্মহারা হয়ে কেঁদে ফেললেন তিনি। বর্তমানে সিলা ও তার সন্তানদের চিকিৎসা করছে তুরস্কের পশুপ্রেমী সংগঠন।