মাধব দেবনাথ, নদীয়া ৬ মার্চঃ দোল উৎসবের প্রাক্কালে নদীয়া জেলা জুড়ে সাজো সাজো রব। কারণ এই সময়ে সেখানে বহু বাড়িতেই গোপাল বা রাধাকৃষ্ণর পূজো হয়। তাই এই সময় গোপাল বা রাধাকৃষ্ণ মূর্তির চাহিদাও বেশ খানিকটা বেশি হয়। শুধু শান্তিপুরে ই এই দোলের সময় কয়েক হাজার বাড়িতে গোপাল বা রাধাকৃষ্ণর পূজো করা হয়। তাই পটুয়ারা এখন ভীষণ ব্যস্ত। মূর্তি তৈরি শেষ। মূর্তি বিক্রিও হচ্ছে ভালই। এখানকার বৈশিষ্ট্য হলো, হামাগুড়ি দেওয়া শিশু গোপালের পাশাপাশি বড় গোপালের মূর্তিও পাওয়া যায়। দুর্গাপূজো, কালীপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোর মতোই আগে থেকে মূর্তির অর্ডার পান মৃৎ শিল্পীরা। বেশিরভাগ মৃৎশিল্পীই গতবছরের তুলনায় অনেক বেশি অর্ডার পেয়েছেন। তাই তাদের মুখে হাসি।
শান্তিপুর চৌগাছা পাড়ার মৃৎ শিল্পী গোবিন্দ পাল জানাচ্ছেন তার কাছে মোট গোপালের সংখ্যা ৪০০ টি , তিনি নিজে হাতে গোপাল বানিয়েছেন এবং নুন্যতম ৫৫ টাকা থেকে শুরু হয়েছে এই সুসজ্জিত গোপাল গুলির দাম । চৌগাছা পাড়া রাধারাণী স্কুলের সামনে মৃৎশিল্পী সুধীন পাল জানাচ্ছেন তার কাছে মোট ১৫০ থেকে ২০০ পিস ছোটো গোপাল গোপাল রয়েছে , বড়ো গোপালের সংখ্যা প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ টি , এছাড়া রয়েছে ৪ টি রাধা কৃষ্ণ, বড়ো গোপালের দাম ৫০০০ থেকে ৬০০০ এবং ছোটো গোপাল ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১১০০ টাকা পর্যন্ত । আবার জয়দেব পালের কারখানায় ২০ টি ছোটো গোপাল রয়েছে , বড়ো গোপালের সংখ্যা মোট ১০০ টি , এখানে ছোটো গোপালের দাম ১০০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ গোপালের দাম ৭০০০ টাকা পর্যন্ত, এমনটাই জানালেন শিল্পী জয়দেব পাল । এর পাশাপাশি প্রশান্ত পালের কাছে ৪০ টি গোপাল রয়েছে , যার দাম আট হাজার, দশ হাজার এবং পাঁচ হাজার টাকা। আবার প্রদীপ পালের কারখানায় দেখা গোপালের সংখ্যা ৭০ থেকে ৮০ টি । তবে আলোর পাশে অন্ধকারও রয়েছে। দু- একজন মৃৎশিল্পী ভালো ব্যবসা করতে পারেননি এ বছর। তাই তাদের গলায় আক্ষেপ। যেমন
গোভাগার মোড়ে কালাচাঁদ পালের কারখানায় সর্বমোট গোপালের সংখ্যা ৫০ টি । জানা যাচ্ছে এখানে এবছর অন্যান্য বছরের তুলনায় গোপাল তৈরির অর্ডার তুলনামূলক কম । কম বিক্রি হচ্ছে শান্তিপুর শহরের গোপাল পুর পুঁটো পুঁটি তলা থেকে সায়ন পাল জানাচ্ছেন এখানে মোট গোপালের সংখ্যা ১৫০ টি , বিভিন্ন দামের গোপাল রয়েছে তার কাছে । দোলের অব্যবহিত আগে থেকেই গোপাল বিক্রি শুরু হয়, চলে বাবলার দোল পর্যন্ত।