দুর্ঘটনা

ব্যুরো নিউজ, ৫ জানুয়ারি: দুর্ঘটনায় মৃত ২ পুলিশকর্মী

বৃহস্পতিবার ভোরে বাগনানের বরুন্দা গ্রামে মুম্বই রোডে পুলিশের একটি টহলদারি গাড়িকে ধাক্কা মারে দশ চাকার একটি ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাগনান থানার সাব ইনস্পেক্টর সুজয় দাস (৪৩) ও হোমগার্ড পলাশ সামন্ত। পরে তাঁদের দেহ নিয়ে আসা হয় বাগনান থানায়।

মৃত পলাশের বাড়ি বাগনানের দ্বিপামালিতা গ্রামে। ৭ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর একটি ৫ বছরের মেয়ে আছে। পলাশের স্ত্রী পিয়ালি তাঁর মেয়েকে নিয়ে বাগনানে থাকতেন। আর তাঁর মা- বাবা থাকতেন গ্রামে। এ দিন পিয়ালির সঙ্গে পলাশের দেহ নিতে এসেছিলেন তাঁর বাবা ও আত্মীয়েরা। তবে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না পিয়ালি। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, পলাশের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল বাগনান থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে। পরে হোমগার্ড পদে চাকরি পান তিনি। এরপর পলাশ বিভিন্ন থানা ঘুরে বছর তিনেক আগে ফের বাগনান থানাতেই বদলি হয়ে আসেন। আধিকারিকেরা জানান, ভাল ব্যবহারের জন্য সহকর্মীদের প্রিয় ছিলেন।

 

এ দিন সকালে বেলুড়ের কামাখ্যা নাথ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে সুজয়ের বাড়িতে গিয়েও চোখে পড়লো একই দৃশ্য। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিজনেরা। তাঁরা জানালেন, ২০০৩ সালে কলেজে পড়ার সময়ে কনস্টেবল পদে চাকরি পান সুজয়। ভাল ফুটবল, ক্রিকেট খেলতেন। খেলার সুবাদেই মিলেছিল চাকরি। কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি পেয়ে এএসআই হয়েছিলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন থানায় ছিলেন। পদোন্নতি পেয়ে মাস ছয়েক আগে এসআই পদে বাগনান থানায় যোগ দেন। সুজয়ের বছর তিনেকের একটি ছেলে ও বছর বারোর একটি মেয়ে রয়েছে।

নিহত হামাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা অরৌরি

সুজয়ের পরিবারের তরফে জানান হয়, বুধবার রাত ১১টার সময়ে শেষ বারের মতো পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছিল সুজয়ের। এ দিন ভোর ৫টায় সুজয়ের দাদা সঞ্জয়ের কাছে বাগনান থানা থেকে ফোন আসে। তাতেই জানানো হয় দুর্ঘটনার কথা। খবর পেয়ে বেলুড় থেকে বাগনানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সঞ্জয়েরা। পরিজনেরা জানান, সুজয় দিন পনেরো অন্তর ১ দিনের জন্য বাড়ি আসতেন। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর