ব্যুরো নিউজ, ১১ নভেম্বর: দলীয় কর্মীদের হাতে আক্রান্ত ব্লক তৃনমুল সভাপতি সহ জেলা পরিষদ সদস্য
বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রক্তাক্ত হয়ে ওঠে ব্লক তৃনমুল সভাপতি সহ জেলা পরিষদ সদস্য। শুক্রবার খয়রাশোল ব্লক তৃনমুল সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর নেতৃত্বে লোকপুর থানার বারাবন গ্রামে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভার ডাক দেওয়া হয়েছিলো।
বীরভূমে আয়োজিত তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান
সেখানেই কাঞ্চন বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আইনুস খানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ করেন, স্বয়ং কাঞ্চন অধিকারী। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে অঞ্চল ভিত্তিক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সেই মোতাবেক এদিন রুপুষপুর অঞ্চলের বারাবন গ্রামে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুবছর ধরে ব্লক তৃনমুল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এখন এলাকায় খুনের ঘটনা বন্ধ হয়েছে। সেই সমস্ত কার্যকলাপ চালানোর উদ্দেশ্যেই তাদের এই অভিপ্রায় বলে তৃনমুল ব্লক সভাপতির অভিযোগ।
লোকপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে খয়রাশোল ব্লক তৃনমুল সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী ও জেলা পরিষদ সদস্য নবগোপাল বাউরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের চিকিৎসার জন্য নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেওয়া হয়। এদিকে তৃনমুল কংগ্রেসের অপর গোষ্ঠীর বক্তব্য যে, যারা কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম ও বিজেপির হয়ে ভোট করল তাদের বাড়িতেই ও তাদের নিয়ে মিটিং করছে ব্লক সভাপতি। এই অঞ্চল ও এলাকার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই নিজের সিদ্ধান্তে এই কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে দলীয় কর্মসূচি মোতাবেক বিজয়া সম্মিলনীকে ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্ধ প্রকট হয়ে উঠছে। জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ দুপক্ষের মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য তার অফিসে ডাক দেন। সেক্ষেত্রে ব্লক সভাপতি অনুপস্থিত থাকায় বৈঠক ভেস্তে যায় ও মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত খয়রাশোল ব্লকে বিজয়া সম্মিলনী বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন জেলা তৃনমুল নেতৃত্ব। ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন সহ পুলিশের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। ইভিএম নিউজ
