ব্যুরো নিউজ, ১৩ অক্টোবর: জলের তোড়ে নিশ্চিহ্ন বাঁশের সেতু! নৌকাতেই ঝুঁকির পারাপার
জলের তোড়ে নিশ্চিহ্ন অস্থায়ী বাঁশের সেতু! নৌকাতেই চলছে ঝুঁকির পারাপার।
দুর্গাপুরে পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
কথায় আছে “নদীর ধারে বাস সুখ দুঃখ বারোমাস” তেমনই অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের স্থানীয়দের। ওপার দিয়ে বয়ে গেছে কাঁসাই নদী, এপার ডেবরা ব্লকের অন্তর্ভুক্ত হলেও ওপার কেশপুর এলাকার অন্তর্গত। ডেবরা ব্লকের খানামোহন ৪ নং অঞ্চলের এপার খানামোহন বাজারের তীরবর্তী বাসিন্দা-সহ ওপারের গোপীনাথপুর, বিশ্বনাথপুর গ্রামের হাজারো মানুষ রোজ নদী পেরিয়ে ডেবরা এলাকায় তাঁদের প্রয়োজনে যাতায়াত করেন। একমাত্র ভরসা অস্থায়ী বাঁশের সেতু।
অকাল বর্ষা আর ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে কাঁসাই নদীর জল অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন ভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে যে নদী পারাপারের একমাত্র যে মাধ্যম অস্থায়ী বাঁশের সেতু, সেই সেতু আজ নিশ্চিহ্ন ! নদীর জলে বয়ে গেছে সেতু। ফলে চরম অসুবিধায় পড়েছে নদীর এপার ও ওপাড় অঞ্চলের প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ।
গোপীনাথপুরের বাসিন্দারা নিত্য প্রয়োজনে এমনকি ডেবরা হাসপাতাল যেতে গেলেও এই বাঁশের সেতু পেরিয়েই যেতে হয়। কিন্তু জল বাড়ায় তারা চরম অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে। নদীর ওপারে একাধিক প্রাইমারি স্কুল থেকে ঝিকুরিয়া হাইস্কুল যেতে ছাত্র-ছাত্রীরা এই বাঁশের সেতু দিয়েই যাতায়াত করে। এই অস্থায়ী সেতুটিই তাঁদের প্রধান ভরসা।
প্রবল বৃষ্টিপাত ও জল বৃদ্ধি হলে বাঁশের সেতুর বদলে চলে নৌকায় করে পারাপার। অত্যধিক জল স্ফীতি হলে তাও বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানান, বর্ষা এলেই তাঁদের দুঃখের দিন শুরু হয়। নদীতে অতিরিক্ত জল বাড়লে নৌকায় পারাপারও বন্ধ হয়ে যায়। তখন কোনও রোগীকে ৮ কিলোমিটার দুরে ডেবরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে প্রায় ত্রিশ পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার দুরে কেশপুরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। যোগাযোগ ব্যাবস্থা তেমন সচল না থাকায়, বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।
এলাকাবাসীদের দাবি, দ্রুত প্রশাসনের আধিকারিকরা এলাকায় স্থায়ী একটি ব্রিজ নির্মাণ করার ব্যাবস্থা করুন।
এদিকে শিয়রে কাঁটা দিয়ে আবহাওয়াবিদরা পুজোর আগে গভীর নিম্নচাপের বাণী শুনিয়েছেন। এমন উদ্বেগের খবরে বাঙালির শ্রেষ্ট উৎসবে কি সব আনন্দই মাটি হবে? তা ভেবেই রীতিমতো চিন্তিত নদী তীরবর্তী ওই এলাকার হাজারো গ্রামের মানুষ। ইভিএম নিউজ