ব্যুরো নিউজ, ৯ নভেম্বর: চিরাচরিত প্রদীপের চাহিদা কম |কারুকার্য করা প্রদীপেই ভরসা মৃৎশিল্পীদের
চিরাচরিত প্রদীপের চাহিদা কম থাকায় মৃৎ শিল্পীদের ডিজাইন প্রদীপের উপরেই বেশি ভরসা। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা শেষ। এরপর আলোর উৎসব দীপাবলি বা কালীপুজোতে মাতবে গোটা দেশ। আর দীপাবলি মানেই গৃহস্থ বাড়িতে আলো জ্বালাতে ব্যবহার হয় মাটির প্রদীপ। আবার অনেকেই গৃহসজ্জার ব্যবহার করে টেরাকোটার আদলে গড়া মাটির প্রদীপ। আর তাই দীপাবলির আগে বিভিন্ন ডিজাইনের মাটির প্রদীপ তৈরি করতে ব্যস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থানা এলাকার গৌরহাট কুমোর পাড়ার মৃৎ শিল্পীরা।
এখানকার মৃৎশিল্পীরা মূলত টেরাকোটার আদলে নানা ধরনের প্রদীপ তৈরি করেন। আর তাই দিনরাত পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এই মিৎ শিল্পীরা। আগের তুলনায় বাজারে অনেকটাই কমেছে চিনা টুনি লাইটের দাপট। কয়েক বছর আগে লাদাখ সীমান্তে চিনা হানায় ভারতীয় সেনা জাওয়ানদের মৃত্যুর ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছিল। এর জেরে চিনা পণ্য বয়কট। আর যার জেরে ভারতের বাজারে অনেকটাই কমেছে চীনা টুনির দাপট।
আর এতদিন দীপাবলীর উৎসবে বাড়ির আলোকসজ্জার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিনা টুনির ব্যবহার দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছিল, আর পাল্লা দিয়ে ততই মাটির প্রদীপের ব্যবহার কমছিল। চাহিদা কমায় মাটির প্রদীপ তৈরীর পেশায় যুক্ত মৃৎশিল্পীদের কর্মসংস্থানের দারুন প্রভাব পড়েছিল। আর চিনা টুনির দাপট কমতেই মুখে হাসি চওড়া হয়েছে মৃৎশিল্পী মহলে।
আর জয়নগর কুমোর পাড়া গ্রামের শিল্পীরা সাবেকি প্রদীপ বানানোর পাশাপাশি এবারে নিত্যনতুন ডিজাইনের টেরাকোটা আদলের প্রদীপ তৈরি করছেন। আর দীপাবলি উৎসবের দিন এগিয়ে আসতেই মাটির প্রদীপ তৈরির কাজে ব্যস্ততা বেড়েছে। ইভিএম নিউজ