ব্যুরো নিউজ, ২০ নভেম্বর: কেটে গিয়েছে প্রায় ৯ মাস | এখনো বাকি বকেয়া
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজিত সেই সভায় যাওয়ার উদ্দশ্যে পশ্চিম বর্ধমান থেকে প্রায় তিনশোটি মিনিবাস নিয়ে গিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু এখন বাস মালিকদের অভিযোগ, প্রায় ন’মাস কেটে গেলেও তাঁদের টাকা এখনও বকেয়া। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিবহণ আধিকারিকের দফতর জানিয়েছে, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে।
সভার জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিবহণ আধিকারিকের দফতর থেকে ওই বাসগুলি নেওয়া হয়েছিল। ফলে আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, ও অন্ডাল থেকে মোট তিনশোটি মিনিবাস গিয়েছিল বর্ধমানে। মিনিবাস মালিক সংগঠন ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কাজল দে জানান, তাঁদের সংগঠন থেকে বর্ধমানে অন্তত ৬০ টি মিনিবাস গিয়েছিল। দুর্গাপুরেরই অন্য একটি মিনিবাস মালিক সংগঠন ‘দুর্গাপুর মিনিবাস অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক অলোক চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁদের সংগঠন থেকে বর্ধমানে অন্তত ৫০টি মিনিবাস গিয়েছিল।
ছট পুজো উপলক্ষে ঘাটে ঘাটে কড়া নিরাপত্তা
কাজলবাবু ও অলোকবাবু, দু’জনেরই বক্তব্য, মিনিবাসের জন্য আমাদের জ্বালানি তেল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্মীদের খাওয়াদাওয়া ও দিনের খরচ বাবদ প্রাপ্য টাকা তারা এখনও পাননি। কাজলবাবু বলেন, “আমাদের প্রথমে ৬০ লিটার করে তেল দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আমরা তেলের পরিমাণ বাড়াতে বলায় তারপর আমাদের ৭০ লিটার করে তেল দেওয়া হয়। কিন্তু খাওয়াদাওয়ার খরচ বাবদ ৯০০ টাকা ও দিনের খরচ বাবদ ১০০০ টাকা, অর্থাৎ মিনিবাস পিছু মালিকদের মোট ১৯০০ টাকা করে পাওয়ার কথা। বলা হয়েছিল, দিন দশেকের মধ্যে তাদের পাওনা সব টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তা আর হয়নি। সেই টাকা আজও তারা পায়নি।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্ডালের একটি মিনিবাসের মালিক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় মিনিবাস দেওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও কাগজপত্র নেই। শুধু জ্বালানি তেলের রসিদ আছে। সেটাই এখন একমাত্র প্রমাণ। আমরা লগবুক দেওয়ার কথা বলেছিলাম। তা হলে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকত। আমরা কী ভাবে এখন বকেয়া টাকা দাবি করব”?
জেলা পরিবহণ আধিকারিক গোবিন্দ নন্দী এই বিষয়ে বলেন, “আমি এখানে নতুন কাজে যোগ দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত কিছু জানা নেই। তবে পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ফাইল ঊর্ধ্বতন দফতরের মাধ্যমে রাজ্য পরিবহণ দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র পেলে সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে।ইভিএম নিউজ