ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৬ জুনঃ (Latest News) অভিশপ্ত করমন্ডলে প্রাণ হারাল পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের দুই ভাই
শ্রমিকের কাজের জন্য যাচ্ছিলেন চেন্নাইয়ে, কিন্তু চেন্নাইয়ে পৌঁছানোর আগেই বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিমেষের মধ্যে যেন সব ওলটপালট হয়ে গেল। আর এই দুর্ঘটনার পর সোমবার সাত সকালে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে এসে পৌঁছালো একই পরিবারের দুই ভাইয়ের কফিন বন্দি মৃত দেহ।
পরিবারের দাবি, এলাকায় কাজ না থাকায় কাজের জন্য এর আগেও বহুবার মতিলাল শবর ও জ্যোতিলাল শবর কাজের জন্য পাড়ি দিয়ে ছিলেন ভিন রাজ্যে। বেশ কিছু মাস কাজ করার পরে কয়েক মাস আগেও বাড়ি ফিরে এসে ছিলেন।
কিন্তু এবারে সেই আগের মতো করে বাড়ি ফেরা হলো না, কাজ করে বাড়ি ফেরা নয় বরং কাজ না করেই বাড়িতে ফিরে এলেন চারদিন পরে, তবে এই বারের বাড়ি অন্য বারের মতো নয়। দীর্ঘ রাস্তা অ্যাম্বুলেন্সে কফিন বন্দী হয়ে বাড়িত পৌঁছালে দুই ভাইয়ের নিথর দেহ।
মতিলাল শবর ও জ্যোতিলাল শবর দুই ভাইয়ের মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছাতেই গোটা এলাকা জুড়ে নেমে আসলো শোকের ছায়া। পরিবার থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজন চারিদিকে শুধু প্রিয় মানুষ হারানোর কান্নার আওয়াজ।।
পরিবারের আত্মীয় দিলীপ শবর জানান , শনিবার বিকেল থেকে ওড়িশার একের পর এক হাসপাতালে খোঁজ করার পরে প্রায় ২৪ ঘন্টা পরে মতিলাল শবরের খোঁজ পায় মৃত অবস্থায়। তার ভাই জ্যোতিলাল শবর এর কোনো খোঁজ না পেয়ে, মতিলাল শবরের মৃত দেহ বাড়ি আনার জন্য ব্যাবস্থা করতে শুরু করেন। সেই সময়ে মৃত ব্যক্তিদের নাম ও ছবির তালিকা দেখতে গিয়ে খোঁজ মেলে জ্যোতিলাল শবরের।
তার পর প্রশাসনিক তৎপরতায় তাদের দেহ এসে পৌঁছায় পুরুলিয়ার জেলার বান্দোয়ানের ঘাগরা গ্রামে।
গোটা পরিবার সহ এলাকার সমস্ত মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়ে।
মতিলাল শবর ও জ্যোতিলাল শবর এর পরিবারে রয়েছে বৃদ্ধ বাবা মা, তাদের দুই ভাইয়ের দুই স্ত্রী, ও মতিলাল এর তিন সন্তান ও জ্যোতিলাল শবরের একটি পুত্র সন্তান।
গতকাল সোমবার পুরুলিয়ার জেলা প্রশাসন ও বান্দোয়ান ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা তাদের বাড়িতে এসে পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং সমস্ত রকম সাহায্য করবেন বলে জানা যায়। (EVM News)