বার

ব্যুরো নিউজ, ১০ জানুয়ারি: এবার সুন্দরবনের মধুর ঝুলিতে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন

জয়নগরের মোয়ার পরে এবার সুন্দরবনের মধুর ঝুলিতে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন। বছরের শুরুতেই জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনের তকমা পেয়েছে জলপাইগুড়ির কালোনুনিয়া চাল, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানের টাঙ্গাইল, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের গরদ ও কোরিয়াল শাড়ির সঙ্গে সুন্দরবনের মধুও। পুণের একটি সংস্থাকে হারিয়ে এই তকমা অর্জন করেছে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় সরকারের জিআই পোর্টালে গত বুধবার থেকেই সুন্দরবনের মধুর নাম নথিভুক্ত হয়েছে। জিআই তকমা মেলায় সুন্দরবনের মধুর চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সকলেই। মৌলেদের মধ্যে খুশির হাওয়া। সারা বছর ধরে বাড়তি রোজগারের আশায় মধুর মরসুমের দিকে তাকিয়ে থাকেন তাঁরা। গত বার মধুর দাম কিছুটা বাড়তি মেলায় খুশি হয়েছিলেন সকলে। এ বার জিআই তকমা মেলায় সেই দাম আরও বাড়বে বলেই তাঁদের আশা।

সংক্রান্তির আগেই বঙ্গে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা? কি বলছে হাওয়া অফিস?

পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম দফতরের তত্ত্বাবধানে সুন্দরনবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও ২৪ পরগনা বন বিভাগের মৌলেরা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করতে বেড়ান। জঙ্গলে মৌচাক খুঁজে সেখান থেকে তাঁরা মধু সংগ্রহ করেন। বন দফতর নির্দিষ্ট দামে তা মৌলেদের কাছ থেকে কিনে নেয়। প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ‘মৌবন’ নামে বাজারজাত করা হয় সেই মধু ও বন উন্নয়ন নিগমের বিভিন্ন কটেজ-সহ বন দফতরের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র থেকে বিক্রি করা হয়।

কোভিড পরবর্তী সময়ে সুন্দরবনের মধুর চাহিদা তুঙ্গে। আর এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই মৌলেরা যাতে আরও বেশি মধু সংগ্রহ করতে উৎসাহিত হন, সে কারণে গত মরসুম থেকেই মৌলেদের বাড়তি দাম দিতে শুরু করেছে বন দফতর। গত এপ্রিলে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় ৭৫টি দল মধু সংগ্রহ অভিযানে গিয়েছিল। ৫৭৬ জন মৌলে এক মাস ধরে দু’দফায় সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করেন।

উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে সুন্দরবন থেকে প্রায় ২০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করেছিলেন মৌলেরা। কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৭০ টাকা করে বাড়তি দাম দেওয়া হয়েছে তাঁদের। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর