ইভিএম নিউজ ব্যুরো – ছোট বেলায় মা কে হারানোর পর বাবা ছিল একমাত্র ভরসা। ছোট সুকন্যা কে নিয়ে ছিল কেষ্টদার সীমিত সংসার,তারই মধ্যে কি যেন ঘটে গেল বাবা মেয়ের জীবনে। আজ নিজেকে বড্ড একা লাগছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের।
বহুদিন স্কুলে না যাওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশে বন্ধ হয়েছে বেতন। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে গেছে দেশজুড়ে দোল উৎসব। এর মধ্যেই গরু পাচার মামলায় জেলবন্দী বাবার দিল্লি যাওয়া পাকা। আদালতের নির্দেশের পর তৃণমূলের বীরভূম জেলার কেষ্ট বাবু শেষমেশ স্থান পেলেন তিহার জেল-এ।
গত বছর ১১ই আগস্ট প্রথমবার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠায়। জেরার সময় অনুব্রতর কথায় অসংগতি পাওয়া যায়। তার পর বহুবার সিবিআই ও ইডি দুই সংস্থাই ডেকে পাঠায় অনুব্রত কে। গ্রেফতারও করা হয়। শেষমেশ আপাত্তত স্থান দিল্লিতে। সেই খবর শুনে কার্যত ভেঙ্গে পরেছেন তার এক মাএ মেয়ে সুকন্যা।
যে বাড়িতে এক সময় নেতা মন্ত্রীদের আনাগোনা লেগেই থাকতো, বোলপুরের সেই নীলসাদা দোতলা বাড়িটা আজ নিস্তব্ধ। বাড়িতে কেবল মাত্রও সুকন্যা, সঙ্গে কয়েক জন পরিচারক আর হাতে গোনা কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী। গত কয়েক দিন ধরে সুকন্যা এতটাই মনমরা, যে খাবারদাবারও ঠিক মতো খাচ্ছে না। বাবা যে চেয়ারে বসতেন সেটাও নাকি ঢাকা দিয়ে রেখেছে মেয়ে।
প্রতিবেশীরা অনুব্রতর সম্পর্কে মুখ খুলতে না চাইলেও কিছু জন ইতি মধ্যে জানিয়েছেন “অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হবার পর থেকে নিজেকে অনেকটাই গুঁটিয়ে নিয়েছেন সুকন্যা। বাড়ি থেকে খুব একটা বেড়চ্ছেন না