রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (আরআইএল) বৃহস্পতিবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, তারা ‘অপারেশন সিন্দুর’ শব্দটির জন্য করা ট্রেডমার্ক আবেদন “ভুলবশত” দায়ের করেছিল এবং তা প্রত্যাহার করেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কোম্পানির এক জুনিয়র কর্মী যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই এই ট্রেডমার্ক আবেদন জমা দিয়েছিলেন।
রিলায়েন্স তাদের জিও স্টুডিওস ইউনিটের মাধ্যমে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামটি নিবন্ধনের জন্য প্রথম ট্রেডমার্ক আবেদন দাখিল করে, যা জমা দেওয়া হয় ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।
আরআইএল এই নামটি তাদের ‘পণ্য ও পরিষেবা’র জন্য ট্রেডমার্ক করতে চেয়েছিল ‘ক্লাস ৪১’-এর আওতায়, যা বিনোদন ও শিক্ষাসংক্রান্ত পরিষেবাকে অন্তর্ভুক্ত করে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, আরও তিনজন ব্যক্তি—অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন কে এস ওবেরহ, আলোক কোঠারি এবং এম সি আগরওয়াল—‘অপারেশন সিন্দুর’ শব্দটির ট্রেডমার্ক করার জন্য অনুরূপ আবেদন জমা দেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। অনেকেই এই উদ্যোগের সমালোচনা করেন।
তবে বৃহস্পতিবার, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের এক নির্বাহী রাজেশ কুমার এস স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে কোম্পানি মুম্বাইয়ের ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রার অফিসে তাদের ক্লাস ৪১-এর আওতাধীন আবেদন নম্বর ৬৯৯৪২৬৪ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নেয়, কোনো কারণ না দেখিয়েই।
রিলায়েন্সসহ মোট চারটি ট্রেডমার্ক আবেদন বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে উল্লেখযোগ্যভাবে তালিকাভুক্ত হয়, যা সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তোলে—এই ধরনের আবেদনের তালিকাভুক্তি আদৌ কীভাবে হলো?
রিলায়েন্সের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অপারেশন সিন্দুর’ নামটি এখন ভারতের বীরত্বের প্রতীক হিসেবে জাতীয় চেতনায় স্থান পেয়েছে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের এই শব্দটি ট্রেডমার্ক করার কোনো অভিপ্রায় নেই।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “জিও স্টুডিওস, যা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের একটি ইউনিট, তাদের ট্রেডমার্ক আবেদনটি প্রত্যাহার করেছে, যা এক জুনিয়র কর্মী অনুমোদন ছাড়াই অনিচ্ছাকৃতভাবে দাখিল করেছিলেন।”
রিলায়েন্স আরও জানায়, “রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং তার সব অংশীদার অপারেশন সিন্দুর নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত, যা পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারতের সাহসী সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত একটি গৌরবময় অভিযান। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের আপসহীন লড়াইয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। রিলায়েন্স এই লড়াইয়ে আমাদের সরকার এবং সশস্ত্র বাহিনীর পাশে পূর্ণ সমর্থন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটুট থাকবে।”