কথায় আছে, শিক্ষার কোনও বয়স হয় না। বয়স কেবল একটা সংখ্যা মাত্র। ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। এটাই প্রমাণ করে দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার লরেন্সভিলের ৭২ বছর বয়সী স্যাম কাপলান। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর কলেজে আর ভর্তি হননি তিনি। ফলে অধরাই রয়ে গিয়েছিল স্নাতক ডিগ্রি পাওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু ৫ দশক কেটে যাওয়ার পর জীবন যখন ফের সেই ডিগ্রি লাভের সুযোগ করে দিল, তখন আর তা হাতছাড়া করেননি স্যাম। সম্প্রতি কলেজ থেকে ৪ বছরের স্নাতকস্তরের পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। আর ছেলের সাফল্য নিজের চোখে দেখতে তাঁর সেই ডিগ্রি লাভের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁর ৯৮ বছর বয়সি মা।
১৯৬৯ সালে স্কুলে পাশ করেন স্যাম। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে কলেজে আর ভর্তি হওয়া হয়নি তাঁর। এরপর একদিন সটান হাজির হয়ে যান কলেজে। সেই সময় তাঁর কানে আসে, জর্জিয়া গিনেট কলেজে স্নাতকস্তরের পড়ুয়াদের ভর্তি হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জ্যাম জানিয়েছে, চিত্রনাট্য লেখায় আগ্রহ রয়েছে। ইতিমধ্যেই দুটি বই লিখে ফেলেছেন তিনি। তাই শেষমেশ সিনেমা এবং মিডিয়া আর্টস নিয়েই স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করতে শুরু করেন তিনি।ইমরানের গ্রেফতারির পেছনে কে এই রহস্যময় নারী ?
স্কুলের পাট চুকোবার ৫০ বছর পর এই বয়সে নতুন করে পড়াশোনা শুরু করা কঠিন ছিল, তবে এটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলেন ।
স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে শেষমেশ মুখে হাসি ফুটেছে তাঁর। “আবার নতুন করে পড়াশোনা শুরু করা, ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মেশা একটা দারুণ ব্যাপার ছিল। আমি তো প্রচণ্ড উত্তেজিতই ছিলাম” – জানিয়েছেন ৭২ বছরের এই যুবক।
ছেলের গ্র্যাজুয়েশনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর ৯৮ বছর বয়সি মা। সত্তরোর্ধ ছেলেকে স্নাতক হতে দেখেছেন তিনি স্বচক্ষে। মা-ছেলে জুটির গল্প শুনে ধন্য ধন্য পড়ে গেছে নেটপাড়ায়। সকলের মুখে একটাই কথা, বয়স কোনও বাধা নয়, তা ফের প্রমাণ করে দিলেন স্যাম কাপলান।(EVM News) ভারতীয় নাগরিকদের উপর কি CAA-এর কোন প্রভাব পড়বে?