জাহাঙ্গীর বাদশা, পূর্ব মেদিনীপুর : বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে জঙ্গলের বাসস্থান হারিয়ে প্রাণ বাঁচাতে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে একটি হরিণ শাবক। গ্রামবাসীরা হরিণ শাবকে স্নেহের সাথে লালন পালন করে তাদের গবাদি পশুদের সাথে।এর পরে হরিণ শাবক ফিরে যায় জঙ্গলে। রোজ ভোরের আলো ফুটতেই স্নেহ আর মমতার টানে গ্রাম চলে আসে শাবকটি । গ্রামের ছাগল, গরুর, সঙ্গে খেলে মানুষের ভালবাসা পেয়ে, আবার সন্ধ্যায় চলে যায় জঙ্গলে। এমনই এক বিরল দৃশ্য দেখা যায় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের জি প্লট অঞ্চলের তটের বাজার এলাকায়। হরিণ শাবকের প্রতি গ্রামের মানুষদের এই স্নেহ ভালোবাসা দূর থেকে উপভোগ করে দূর দূরান্ত থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। তিন থেকে চার বছর আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে একটা হরিণ শিশু বিপর্যস্ত হয়ে এসে পড়ে তটের বাজার এলাকার এই গ্রামের মধ্যে। গ্রামের মানুষরা স্বস্নেহে হরিণ শিশুটিকে দুধ, জল , দুর্বাঘাস ও গাছের পাতা ছিঁড়ে তাকে কিছুদিন খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে এবং সুস্থ করে তুলে জঙ্গলের কাছে ছেড়ে দেওয়া হয় । কিন্তু সকাল হলেই শিশু হরিণটি আবার চলে আসে গ্রামে , তারপর হরিণটি খেলা করে ছোট ছোট ছাগল বাচ্চা ও গরু-বাছুরের সঙ্গে। মানুষ ডাকলে ছুটে আসে তাদের স্নেহ পেতে । দেখতে দেখতে চার বছর পাঁচ বছর অতিক্রান্ত । প্রতিদিন সকালে জঙ্গল থেকে এসে গ্রামের এপাড়া, ওপাড়া, ঘোরে, আবার গরু বাছুরদের, ছাগলের সঙ্গে, খুনসুটি করে ফিরে যায় জঙ্গলে। এইভাবেই চলে হরিণের রোজনামচা । সাধারনত, এমন দৃশ্য বিরল ।
