একবিংশ শতাব্দীতে এসে পোষমানানো পাখির লড়াই প্রদর্শনী একটা অন্যমাত্রা এনেদিয়েছে।মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে পাখির লড়াইকে ঘিরে গ্রামবাসীদের উন্মাদনার যেন শেষ নেই।

মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে পাখির লড়াইকে ঘিরে গ্রামবাসীদের উন্মাদনার যেন শেষ নেই। জঙ্গলমহলের গোপীবল্লভপুরে প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তির দুপুরে এখানকার দুটি পাড়া যথাক্রমে বাজার সাই ও দক্ষিণ সাইএর মধ্যে বুলবুলি পাখির লড়াই হয়ে থাকে।

কয়েকশো মানুষ ভিড় করেন এই লড়াই দেখতে। ঠিক যেমনটা হতো উনিশ শতকের শহর কলকাতায়। বুলবুলি পাখির লড়াই অথবা পায়রা ওড়ানো দেখতে ছাতুবাবুর মাঠ নাহলে দয়াল মিত্তির বাগানবাড়িতে জুড়ি গাড়ি চড়ে সেকালের বাবুরা আসতেন। সেই বাবু কালচার সময়ের সাথে মিলিয়ে গেলেও গোপীবল্লভপুর আজও এই ঐতিহ্যকে বহণ করে চলেছে।

গোস্বামীদের রাধা গোবিন্দ মন্দিরের কাছে, চাঁদোয়া টাঙিয়ে হয় পাখির লড়াই । টেবিলের উপরে ছেড়ে দেওয়া হয় দুটি করে বুলবুলি পাখি,আর টেবিলের চারপাশ ঘিরে থাকে উৎসাহী গ্রামবাসী। পাখির মালিকের হাতে থাকে পাকা কলা আর সেই কলার টুকরো দেখিয়ে উত্তেজিত করা হয় পাখিদে। আবার লড়াইয়ের ময়দানে পাখিদের দম বাড়াতে দেওয়া হয় আখের রস। এভাবে একে একে পাখি এগিয়ে দিয়ে, লড়াই এগিয়ে চলে। হেরে যাওয়া বুলবুলি পাখির ঝুঁটি কেটে দেন সেনাপতি। আবার জিতে যাওয়া পাখি পুরস্কারও পায়। সমস্ত খেলা পরিচালনা করেন এই সেনাপতি। ঝুঁটি কাটার সঙ্গে পাড়ার মান মর্যাদা জড়িয়ে থাকে, তাই প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পাড়ার মধ্যে থাকে ব্যাপক উত্তেজনা ।

 

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর