অতনু সিংহ, ইভিএম নিউজঃ “বাংলা ভাগের ব্যাপারে কেন্দ্রের সঙ্গে ইতিবাচক কথা হয়েছে৷ বাংলা ভাগ হচ্ছেই”। এমনটাই বললেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অনন্ত মহারাজ। তাঁর এই মন্তব্যের সময় পাশে ছিলেন কালিম্পং-এর বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। অনন্ত মহারাজের বক্তব্যকে সমর্থন করে তিনি বলেন, “আমাদের এই রাজবংশী অধ্যুষিত এলাকা থেকে রাজবংশীদের ইতিহাসকেই মুছে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।’’
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ থেকে গোটা উত্তরবঙ্গকে আলাদা করে পৃথক একটি রাজ্য হিসাবে ঘোষণার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার রয়েছে, গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। রাজনীতি থেকে শুরু করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক, সমস্ত ক্ষেত্রেই উত্তরবঙ্গের ওপর একপ্রকার আধিপত্য ফলাচ্ছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে উত্তরের উন্নয়ন পরিষেবাও। মূলত এই অভিযোগেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি জানাচ্ছেন অনন্ত মহারাজরা৷ আর সেই পিছনে রাজনৈতিকভাবে বিজেপির যে অনেকাংশে সমর্থন রয়েছে, বিভিন্ন সময়ে পরোক্ষভাবে তারও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। উত্তরবঙ্গে বিজেপির সাফল্যের পিছনেও রয়েছে এখানকার বেশ কয়েকটি পরিচিতিসত্তার আন্দোলনের পিছনে গেরুয়া ব্রিগেডের নৈতিক সমর্থনও৷ যদিও বিজেপির রাজ্যস্তরের ও কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা গোটা বিষয়টির মীমাংসা সংবিধাসম্মত এবং রাজনৈতিকভাবেই করতে আগ্রহী৷
কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সঙ্গে সংগঠন বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, কোনো অবস্থাতেই বাংলা ভাগ করা যাবে না। এমনকি নয়া এই বাংলাভাগের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ ‘বাংলা ভাগের চক্রান্ত’ প্রতিহত করতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারের মাথাভাঙায় সভা করতে চলেছেন রাজ্যের শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর তারপরেই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী অমিত শাহ৷ এই প্রেক্ষাপটে অনন্ত মহারাজ ও বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷




















