সন্দীপ মুখার্জি, কে.পি অ্যাস্ট্রোলজার, ৭ জুনঃ (Latest News)
হিন্দু ধর্মে যে ৮ চিরঞ্জীবীর কথা বলা হয়, তার মধ্যে অন্তম হলেন বজরংবলী। তিনি কলিযুগের দেবতা। মনে করা হয় আজও পৃথিবীতে বজরংবলী জীবিত রয়েছেন। এমনকি যেখানে যেখানে রামচরিতমানস, সুন্দরকাণ্ড পাঠ বা রামের পুজো করা হয়, সেখানে বজরংবলী কোনও না-কোনও রূপে উপস্থিত থাকেন। ব্যক্তি নিজের ভয় দূর করতে সাহস ও শক্তি অর্জনের জন্য বজরংবলীর পুজো করে থাকেন। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে হনুমানকে অধিক বলশালী দেবতার আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবে বজরংবলীর সম্পর্কে বেশ কিছু কথা আমরা এখনও জানি না। বজরংবলীর সঙ্গে জড়িত ১০টি চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরা হল এখানে। আজ এই ১০ টি তথ্যের মধ্যে ২ তথ্য আপনাদের সমক্ষে তুলে ধরা হল।
প্রথম এবং দ্বিতীয় তথ্যে বজরাংবলীর জন্ম সূত্র এবং তার ভ্রাতাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে।
১. পাঁচ ভাই ছিলেন বজরংবলী- আপনারা হয়তো জানেন না যে বজরংবলীর আপন ৫ ভাই ছিলেন। এই পাঁচ ভাইই বিবাহিত ছিলেন। ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। এই পুরাণে বজরংবলীর পিতা কেসরী ও তাঁর বংশের বর্ণনা পাওয়া যায়। এই পুরাণ অনুযায়ী বানররাজ কেসরীর ৬ পুত্রের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিলেন হনুমান। বজরংবলীর ভাইয়ের নাম হল- মতিমান, শ্রুতিমান, কেতুমান, গতিমান ও ধৃতিমান। এই ভাইয়েরা বিবাহিত ছিলেন ও এঁদের সন্তান-সন্ততিও ছিল।
২. শিবের অবতার ছিলেন বজরংবলী- একদা স্বর্গে বসবাসকারী অপ্সরা অঞ্জনাকে ঋষি অভিশাপ দেন যে, তিনি যখনই কাউকে ভালোবাসবেন, তাঁর মুখ বাদরের মতো হয়ে যাবে। তখন তিনি ব্রহ্মার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। ব্রহ্মার আশীর্বাদে তিনি পৃথিবীতে মানবরূপে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে বানররাজ কেসরীর সঙ্গে প্রেম করেন অঞ্জনা। পরে তাঁরা বিবাহ করেন। শিবের পরমভক্ত ছিলেন অঞ্জনা। অঞ্জনার ভক্তিতে প্রসন্ন হয়ে তাঁর গর্ভ থেকে পুত্র রূপে জন্মগ্রহণ করার আশীর্বাদ দেন। কিছুদিন পর রাজা দশরথ পুত্রোষ্টি যজ্ঞ করেন। ঋষি দশরথের সমস্ত স্ত্রীকে খাওয়ার জন্য পায়েস দেন। কৌশল্যার পায়েস থেকে কিছুটা একটি চিল নিয়ে উড়ে যায়। শিবের আদেশে পবন দেব সেই পায়েস ধ্যানমগ্ন অঞ্জনার হাতে ফেলে দেন। সেটিকে শিবের আশীর্বাদ ভেবে গ্রহণ করেন অঞ্জনা। এর ফলে শিবের অংশরূপে জন্মগ্রহণ করেন পবনপুত্র হনুমান। (EVM News)