ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৭ মেঃ (Latest News)

পশ্চিমবঙ্গ এখন এক নির্বিকল্প দুর্নীতির রাজ্য। স্কুলের চাকরি থেকে শুরু করে বালি, পাথর, কয়লা, গরু পাচার, নির্মাণ সামগ্রী থেকে হাসপাতালের শয্যা এমনকি পুরভবন, বনদপ্তর- যেদিকেই চোখ পড়বে সর্বত্রই দুর্নীতি ছড়িয়ে এই রাজ্যে। সেই দুর্নীতির সর্বাঙ্গে জড়িত রাজনীতি। এই সকল দুর্নীতির পিছনে যারা রয়েছে দেখা গেছে  তারা সকলেই রাজ্যের শাসক দলের নেতা নেত্রী।

রাজ্যবাসী দেখেছে  শাসকদলের দোর্দন্ডপ্রতাপ মহা সচিব তথা রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার অভিনেত্রী কাম মডেল বান্ধবী অর্পিতার বিপুল সম্পদ দেখা গেছে, যা এসেছে শিক্ষার নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির জেরে। এই নিয়োগ দুর্নীতিতে পরবর্তীকালে একে একে শিক্ষা পর্ষদের উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিরা কিভাবে যুক্ত এবং কিভাবে দালাল চক্রের মাধ্যমে এই দুর্নীতির জাল রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তা রাজ্যবাসীর কাছে অজানা নেই। ইডি, সিবিআই এর দৌলতে প্রকাশ্যে এলো সব কিছুই।

এরপরে বালি ও পাথর খাদান থেকে চোরা চালান, গরু পাচার, এই সমস্ত দুর্নীতির সঙ্গে শাসক দলের হেভি ওয়েট থেকে শুরু করে লতা-গুল্ম জাতীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ, এবং তাদের মদতে একের পর এক ঘটনা যেভাবে সামনে এসেছে তাতে দুর্নীতির শিকড় কতটা গভীরে তার সমস্ত হদিস না পেলেও মানুষ কিন্তু মনে করছেন যা ঘটেছে তা হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের অজান্তে ঘটতে পারে না।

ইডি- সিবিআই এর তদন্তের এক্তিয়ারে এখনও যা যা আসেনি সে তালিকাও কিন্তু চমকে দেওয়ার মতন। রাজ্য জুড়ে  আবাস যোজনা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। ১০০ দিনের কাজ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে এবং কোণঠাসা হচ্ছে  তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার।

তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নিজস্ব চটকদার  ভঙ্গিতে দায় ঝেড়ে ফেলছেন নিজের ঘাড় থেকে। কিন্তু একথা ভুললে চলবে না, এই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রকাশ্যে এক দলীয় সভার গলা সপ্তমে চড়িয়ে  দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘একা খাবেন না, সবাইকে দিয়ে খান’- যে কথার ইঙ্গিত বুঝতে কারোরই অসুবিধে হয়নি।  তাই এই বিপুল দুর্নীতি তার অজান্তে হয়েছে একথা রাজ্যবাসী কতটা বিশ্বাস করেন বা করছেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

বিরোধীরা তো বিশ্বাস করছেনই না। বাম, কংগ্রেস, বিজেপি প্রতিদিনই এই দুর্নীতির মাথা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিশানা করছেন।

এই দুর্নীর প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ সংবাদ মাধ্যমে বললেন, “ আমার তো মনে হয় মাননীয়া মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় আগে যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই চুরির অভ্যাস করেছিলেন। আজকে চুরিটাকে আপনারা সার্বজনীন করেছেন, পুরো বাঙ্গালীর মাথা নিচু করেছেন। বাঙালি জাতি চোর এটাই প্রতিপন্ন করেছেন। এর পর সিপিআইএম কে কটাক্ষ করে বলেছেন, আপনাদের একটা সময় ৩৬ জন এমপি ছিলো, তখন কি করতে পেরেছেন। যা দুর্নীতি চক্র ধরা হয়েছে তা আমরাই করেছি। (EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর