জাহাঙ্গির বাদশা, তমলুকঃ সরস্বতীপুজো উপলক্ষ্যে স্কুলে একটি ফিস্টের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ফিস্টের বাড়তি থাকা খাবারদাবার পরদিন স্কুলের হোস্টেলের আবাসিকদেরকেও দেওয়া হয়েছিল। আর ততক্ষণে নষ্ট হয়ে যাওয়া সেই খাবার খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়লেন, হোস্টেলের ১৬ জন পড়ুয়া। ছাত্রদের নিয়ে উদাসীনতার এই অমানবিক নজির তৈরি হল, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিকাশি মহেশ্বর জিউ হাইস্কুলে। আবাসিকদের অভিভাবকদের অভিযোগ সরস্বতী পুজোর দিন স্কুলে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন না হলেও, সেই উপলক্ষ্যে গত বুধবার স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি ফিস্টের আয়োজন করেছিল। কিন্তু উপস্থিত পরিবারের চেয়েও খাবারদাবার বেশি হওয়ায়, সেগুলি পড়েছিল। পরদিন দুপুরে স্কুলের হোস্টেলের আবাসিকদের সেই খাবার খেতে দেওয়া হয়েছিল। আবাসিক ছাত্রদের অভিযোগ বৃহস্পতিবার বিকেলে পর থেকেই, তাদের কয়েকজন সহপাঠীর অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে। রাত বাড়তেই পেটের গণ্ডগোল আর দফায় দফায় বমি করে, অন্তত ১৬ জন ছাত্র রীতিমতো কাহিল হয়ে পড়ে। শারীরিক পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হওয়ায়, ১৬ জন ছাত্রের মধ্যে একজনকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয় বলে আবাসিকদের দাবি।
হোস্টেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে, শুক্রবার সেখানে আসে, ব্লকের স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল। তবে তাঁরা সেখানে থাকাকালীনই আরও তিনজন ছাত্রকে, চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়। এদিকে গুরুতর এই গাফিলতির বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা রং অভিযোগ উঠেছে, স্কুলটির প্রধানশিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে স্কুলের হোস্টেলে যাওয়া সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখে, প্রথমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন প্রধানশিক্ষক দিলীপকুমার দাস। কিছুক্ষণ পর অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে ফিরে এসে, তিনিই আবার সাংবাদিকদের খবর সংগ্রহে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি, তাঁদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে না পেরে, শেষপর্যন্ত মরিয়া হয়ে, স্কুলের প্রধান ফটকের তালা লাগিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক ও তাঁর সহশিক্ষকরা। তবে এত কিছু করেও রক্ষা হয়নি। গোটা এলাকার পাশাপাশি জেলা শিক্ষাদফতরেও পৌঁছেছে, ছাত্রদের নিয়ে এই ছেলেখেলার অভিযোগ। যদি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জেলা শিক্ষাদফতরের এখনও তা জানানো হয়নি।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর