ব্যুরো নিউজ, ৯ অক্টোবর: পাহাড়ে প্রকৃতি ধ্বংসই সিকিমে বিপর্যয়ের কারণ?
উত্তর-পূর্ব ভারতেও হতে পারে সিকিমের মতোন ভয়াবহ অবস্থা। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ফরেস্ট ম্যান যাদব পায়েং।
নিশ্চিহ্ন আফগানিস্থানের ১২টি গ্রাম | মৃতের সংখ্যা ২’হাজার পার
পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত যাদব পায়েং। তিনি ব্রক্ষ্মপুত্র দ্বীপের ধূধূ প্রান্তর অসমের কলিকামুখের ঔনামুখ চাপরিকে জঙ্গলে রূপান্তর করেছিলেন। এই কাজের জন্য জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘ফরেষ্ট ম্যান অফ ইণ্ডিয়া’ উপাধিতে ভূষিত করে।
জলপাইগুড়িতে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট জানান, নদীর নিজের গতিপথে মানুষ বাঁধ তৈরি করে বাধার সৃষ্টি করলে সিকিমের মতো ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। পরিবেশ ধ্বংস করে এমন কাজ করা হলে সিকিমের মতোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় বার বার ঘটবে। অর্থাৎ এক কথায়, পাহাড়ের প্রকৃতি ধ্বংসই সিকিমে বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।
এদিন তিনি পরিবেশ ধ্বংস করে উন্নয়নের তীব্র বিরোধিতা করেন। এ দিন তিনি জলপাইগুড়িতে এসে করলা নদীতে মাছ ছাড়েন। পাশাপাশি বৃক্ষরোপন-সহ একাধিক অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিলি বলেন, “প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন ও অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ তৈরিই সিকিম বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা হিমাচল প্রদেশে ঘটেছে। এই ভাবে চলতে থাকলে আগামীতে উত্তর-পূর্ব ভারতেও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। অসমের হাফলংয়ে রেল স্টেশন তৈরি করতে গিয়ে প্রচুর গাছ কাটা হয়েছে। এখন তার ফল ভুগতে হচ্ছে।” ইভিএম নিউজ