ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৬ মার্চঃ বিয়ে হোক বা জন্মদিন যেকোনো শুভ অনুষ্ঠানের শুরু হয় এই মিষ্টি মুখ দিয়ে । মিষ্টি ছাড়া অসম্পূর্ণ হয়ে যায় পুরো অনুষ্ঠানটি। এদিকে রাত পোহালেই দোলপূর্ণিমা। দোলে মিষ্টি মুখ হবেনা তাই কখনও হয়? রসগোল্লা থেকে শুরু করে রকমারি সন্দেশ, জিলিপি, মালপোয়া কোনকিছুই বাদ পরেনা কোনকিছুই। হয়তো এই ছোট গুজিয়ার সকলেই ভক্ত। আট থেকে আশি সকলেই এই ছোট গুজিয়াপ্রেমী। মিষ্টিটির ওপরের দিকটা শক্ত হলেও মিষ্টিটা মুখে পড়লেই নিমেষের গলে যায় মুখের মধ্যে। হোলি উপলক্ষে এই হাজির করা হয়েছে ‘বাহুবলী গুজিয়া’র। রসনা তৃপ্তির সঙ্গে উফরি পাওনা হল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ক্রেতাদের গুজিয়া খাওয়ার সুযোগ। আপনা ভাবছেন তো কথায় এটার সন্ধান মিলবে? এটার খোঁজ পেতে আপনাদের যেতে হবে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের এক জনপ্রিয় মিষ্টি দোকানে। শুনে অবাক হচ্ছেন তো ? গুজিয়া আবার নাকি সেটি ‘বাহুবলী’। যেমন তার নাম ঠিক তেমন তারই তার চেহারা। আপনারা দেখলে নিশ্চিত ভিমরি খাবেনই খাবেন।
সম্প্রতি লখনউয়ের এক জনপ্রিয় ওই মিষ্টি দোকানে গুজিয়া খাওয়ার প্রতিযোগিতাটা সামনে আসতেই হইচই পরে গিয়েছে গিয়েছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। তবে এটা বাঙালির পরিচিত গুজিয়ার মতো নয়। নামে মিল থাকলেও স্বাদ কিংবা চেহারায় একদমই মিল নেই এই বৃহদাকার গুজিয়ার। বাইরে ময়দার আস্তরণ আর ভিতরে ভর্তি ক্ষীর ,পেস্তা, আমন্ড, চিনির পুর । লম্বায় প্রায় ১৪ ইঞ্চি। আর এই ১৪ ইঞ্চি মাপের গুজিয়ার ওজন প্রায় 2 কিলোগ্রামের কাছাকাছি। শুনে অবাক হচ্ছেন তো? আর সেই বিশালাকার গুজিয়া খাওয়ার ভিড়ে হিমশিম খাচ্ছেন দোকানদাররা। আর অতিকায় সুস্বাদু বাহুবলির দাম করা হয়েছে ১৫০০ টাকা।
এই প্রসঙ্গে মিষ্টির দোকানদার বলেছেন, এক একটি ‘বাহুবলী গুজিয়া’ খাওয়া প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর কোনও খোঁজ অবশ্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলেই সেই মিষ্টি বেশ আয়েশ করেই খেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে ।