ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৯ ই মার্চঃ শিয়রে ২০২৪ এর লোকসভা ভোট।সেই লক্ষে নিজেদের মতন করে তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলি। নিজেদের সংগঠনকে আরও বেশী শক্তিশালী করার লক্ষে তাই আগে ভাগে তৈরি পদ্ম শিবিরও। এই লড়াইয়ে দলকে একদম সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে মাঠে নামতে চলেছেন স্বয়ং ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গেরুয়া শিবিরের এক্সিকিউটিভ কমিটিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ২০২৪-এর নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে ২০১৪-এর মতোই দেশের কোনায় কোনায় পৌঁছবেন নরেন্দ্র মোদী। যদিও ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মোদীর প্রচার ছিল গুজরাত মডেলকে সামনে রেখে। তবে এবার বিজেপির গত ১০ বছরের শাসনকালের কাজের খতিয়ান কে সামনে রেখেই এগোতে চান বলে গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর। সেই লক্ষে সারা দেশে মোট ১০০ টি সভা করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অবিজেপি রাজ্যগুলির জন্য ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্যাকেজ। একই ভাবে বেঙ্গল প্যাকেজ তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপির কার্যকর্তারা।বিজেপি সূত্রের খবর,২০২৪-এ নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ আসন সংগ্রহের লক্ষে বাংলা থেকে অন্তত ২৫ টি জয় প্রয়োজন তাঁদের। আর তাই বাংলাকে নিয়ে বিজেপির বিশেষ কিছু পরিকল্পনাও রয়েছে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে জেতা ১৮ টি আসন ধরে রাখার পাশাপাশি বাড়তি সাতটি আসনে জয় হাসিল করা কঠিন হলেও বাংলার জন্য তৈরি করা বিশেষ প্যাকেজ মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন দিল্লির নেতারা।
মোদীর সভা গুলিতে গত এক দশকে তৈরি হওয়া বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প যেমন- প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা যোজনা ইত্যাদি দৃষ্টান্তকে তুলে ধরার পাশাপাশি যেকোনো রাজ্যের স্থানীয় চাহিদার কথা মাথায় রেখে তৈরি হওয়া ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া’-র পরিকল্পনাও পেশ করা হবে।
গত সপ্তাহ থেকেই বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার কর্মীরা দলের নির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন বাংলা সহ দেশের মোট ৬০ টি বিশেষ লোকসভা কেন্দ্রে যেখানে সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ।
অন্যদিকে উজ্জ্বলা ও জনধন যোজনার সুবিধা দেশের মহিলাদের কাছে ঠিকঠাক পৌঁছচ্ছে কিনা তা যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপি পরিচালিত মহিলা মোর্চাকে।তবে বিজেপি দল মনে করছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে আঞ্চলিক প্রত্যাশা পূরণের ওপর জোর দিলেও মোদীজির দশ বছরের কাজের সুফল প্রাপ্তির জন্যই দেশের মানুষ টানা তৃতীয় বারের জন্য বিজেপিকে দিল্লির মসনদে বসাবে।