ব্যুরো নিউজ, ৩১ জানুয়ারি: জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের পুজার অনুমতি
বারাণসীর বিতর্কিত জ্ঞানবাপী মসজিদের সীল করা নিচের অংশে তথা বেসমেন্টে হিন্দুদের প্রার্থনা করার অনুমতি দিল আদালত। বিতর্কিত ওই মসজিদের নিচে রয়েছে হিন্দু মন্দির। আর তাই নিয়েই বিতর্কের জেরে ১৯৯৩ সাল থেকে সেখানে বন্ধ রয়েছে হিন্দুদের প্রার্থনা। হিন্দু ভক্তদের পক্ষে আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন জানিয়েছেন, যে, মসজিদের নিচে যেখানে হিন্দুদের মন্দির আছে বলে ধারনা সেখানেই প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
ফের প্রতারণার শিকার হুগলীর বৃদ্ধ দম্পতি
আদালত জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে এ ব্যাপারে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে প্রার্থনার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই প্রার্থনার জায়গাটিকে বলা হয় ‘ব্যাস কা তেখানা’। তবে, মুসলিম সংগঠন অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির পক্ষে মামলাকারীদের আইনজীবী আখলাক আহমেদ বলেছেন, আদালতের এই অনুমোদনের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন। মসজিদ কমিটির আবেদনের উপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি। সেখানেই তাঁরা ওই পূজা অর্চনার সিদ্ধান্ত বাতিলের আবেদন জানাবেন।
অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ৪ হিন্দু মহিলা ওই হিন্দু মন্দির আছে বলে বিতর্কিত স্থান খনন ও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের আবেদন জানিয়েছেন। একইভাবে মসজিদের অংশেও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান করতে হবে। হিন্দুদের ধারণা, সেখানে মন্দিরের উপর মসজিদ করা হয়েছে। ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক অনুসন্ধান দফতর সম্ভবত এমনই রিপোর্ট দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই মসজিদের বেসমেন্টে ৪ টি তেখানা রয়েছে। তাঁর মধ্যে একটি ব্যাস পরিবারের মালিকানাধীন। এই ব্যাসেরাই সেখানকার অধিবাসী ছিলেন। তারাই সেখনাকার বংশ পরম্পরায় পুরোহিত বলে দাবি করেছেন। ফলে সেই তেখানায় তাঁদের আবার প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হোক বলে আবেদন জানিয়েছেন। অনেকটা রাম মন্দিরের মতো বিতর্কিত এই মসজিদ ও মন্দির সম্পর্কিত ঘোলা জল কীভাবে ও কত দিনে শান্ত হয় সেদিকেই তাকিয়ে আছেন হিন্দুরা। ইভিএম নিউজ